Nitin Gadkari: কৃষকদের দুর্দশা ঘুচবে, গ্রিন ফুয়েল প্রস্তুতিতে জোর দেওয়ার বার্তা কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রীর

Avatar

Published on:

কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী (Nitin Gadkari) বারংবার দেশে গ্রিন ফুয়েল বা ইথানল উৎপাদন বাড়ানোর জন্য সোচ্চার হয়েছেন। এবার তিনি দেশের কৃষকদের প্রচলিত খাদ্যশস্যের পরিবর্তে ইথানল উৎপাদনের জন্য সহায়ক শস্যের চাষ করার পরামর্শ দিলেন। এর ফলে কৃষকরা অধিক আর্থিক লাভবান হবেন, পাশাপাশি ইথানলের উৎপাদনও বাড়বে বলে তিনি জানিয়েছেন।

সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে এক সাক্ষাৎকারে গডকড়ী জানিয়েছেন, বর্তমানে জীবাশ্ম জ্বালানি কিনতে দেশের প্রতি বছর খরচ হয় ৮ লক্ষ কোটি টাকা। ফ্লেক্স-ফুয়েল ব্যবহারের ফলে এই খরচ উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে আনা সম্ভব হবে। তাই ইথানলের উৎপাদন বাড়ানো প্রয়োজন। তিনি যোগ করেছেন, “বর্তমানে দেশের কৃষকরা আমাদের খাদ্যশস্য দেয়। কিন্তু তাঁদের শক্তিও প্রদান করা উচিত। এখন জ্বালানি আমদানি করতে বছরে ৮ লক্ষ কোটি টাকা খরচ করে দেশ এবং এই অর্থের পরিমাণ ভবিষ্যতে ২৫ লক্ষ কোটিতে দাঁড়াবে। যদি এই বৃহৎ অঙ্কের পরিমাণটি কৃষকদের উদ্দেশ্যে যায়, তবে তাঁরা আত্মহত্যার পথ আর বেছে নেবেন না।”

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এও বলেছেন যে, দেশের অটোমোটিভ কোম্পানিগুলি ফ্লেক্স ইঞ্জিন উৎপাদন করতে প্রস্তুত। ফ্লেক্স ফুয়েল ইঞ্জিন এদেশে আসতে কমপক্ষে ৬ মাস সময় লাগবে বলে তিনি গত মাসে বলেছিলেন। তবে এখন তাঁর বক্তব্য, “আমরা সুপ্রিমকোর্টে একটি হলফনামা পেশ করার পরিকল্পনা করছি, যাতে Euro IV নির্গমন নিয়ম অনুযায়ী ফ্লেক্স ফুয়েল ইঞ্জিন তৈরিতে অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু এখন আমার মনে হচ্ছে দেশের সমস্ত যানবাহন প্রস্তুতকারীদের Euro VI নির্গমন নিয়ম অনুযায়ী, আগামী ৬-৮ মাসের মধ্যেই ফ্লেক্স ফুয়েল ইঞ্জিন (যা একাধিক জ্বালানিতে চলবে) তৈরি করতে বলবো।”

প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় সরকার সম্প্রতি একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে যে দেশের পেট্রোলে ইথানল মেশানো হবে। এমনকি উক্ত প্রস্তাবে বলা হয়েছিল ১২%-১৫% ইথানল মেশানো পেট্রোলের ই-১২ ও ই-১৫ নামকরণ করা হবে। তবে পরিশেষে স্বভাবতই যে প্রশ্নটা উঠে আসছে তা হল, যদি দেশের কৃষকরা খাদ্যশস্য চাষের পরিবর্তে পরিবেশবান্ধব জ্বালানি বা ইথানল প্রস্তুতি জোর দেন, তার ফলাফল দেশের মানুষের জন্য কতটা সুবিধাজনক হবে!

সঙ্গে থাকুন ➥