গত শনিবার সকালের দিকে রাজস্থানের কোটার একজন ১৪ বছর বয়সী ছেলে নিজের গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। কারণ অন্য কিছু নয়, বরং জনপ্রিয় মাল্টিপ্লেয়ার গেম পাবজি। সেই ছেলেটি ওইদিন রাত্রি ৩টে অবধি পাবজি খেলে এবং তারপরে ঘুমোতে যায়। কিন্তু তার পরেই আত্মহত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয় ছেলেটি।
কোটা রেলওয়ে কলোনি থানা অফিসার ইনচার্জ হংসরাজ মিনা জানিয়েছেন যে, ওই ছেলেটি নবম শ্রেণীর ছাত্র এবং তার বাবা সেনাবাহিনীতে রয়েছেন। পরিবারের লোকেদের বয়ান অনুযায়ী, ওই ছেলেটি তার মায়ের মোবাইল ফোনে তিনদিন আগে পাবজি গেমটি ডাউনলোড করে। এবং ডাউনলোড করার পর থেকেই ছেলেটি টানা তিনদিন ধরে পাবজি খেলে।
সেদিন ছেলেটি রাত তিনটে অবধি তার দাদার পড়ার ঘরে বসে পাবজি খেলে এবং তারপরে ঘুমোতে যায়। পরদিন সকালে তার ঝুলন্ত দেহ ঘরের ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয়। তৎক্ষণাৎ তাকে নিকটবর্তী এমবিএস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায় যে, হাসপাতালে নিয়ে আসার অনেকক্ষণ আগেই ছেলেটির মৃত্যু হয়ে গিয়েছে।
১৪ বছর বয়সী ছেলেটির মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবারে। ছেলেটির ঘরে কোন সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি। ছেলের পিতা তামিলনাড়ুর নিবাসী একজন আর্মি অফিসার এবং বর্তমানে অরুণাচল প্রদেশের একটি বেস ক্যাম্পে রয়েছেন। বর্তমানে ছেলেটির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে।