ভারতে স্মার্টফোনের আমদানি কমাচ্ছে Xiaomi, Realme-র মত চীনা কোম্পানি, জেনে নিন কারণ

Avatar

Published on:

গতকালই জানা গিয়েছে যে, ভারত সরকারের থেকে ওয়্যারলেস প্ল্যানিং অ্যান্ড কো-অর্ডিনেশন (WPC) কমিশনের প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র না মেলার কারণে তাবড় তাবড় চীনা কোম্পানিগুলি এদেশের বাজারে নিজেদের স্মার্টফোন বা ল্যাপটপ জাতীয় নতুন প্রোডাক্ট লঞ্চ করতে পারছেনা; এদেশে মহামারী পরিস্থিতির জন্য ব্যাহত হয়েছে বহু প্রোডাক্ট লঞ্চ ইভেন্টও। এদিকে ২৪ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই ভারতের স্মার্টফোন বাজার সংক্রান্ত আরো একটি চাঞ্চল্যকর খবর সামনে এসেছে, যা দেখে মনে হচ্ছে চলতি বছরেও ২০২০-র মতই স্মার্টফোনের শিপিং নিয়ে সমস্যা দেখা দিয়েছে। আসলে গতবছর করোনা অতিমারীর জেরে এবং ভারত-চীন উত্তেজনার কারণে বাজারে কার্যত স্মার্টফোনের আকাল দেখা যায়; ওই সময় ভারতে চীনা পণ্যের আমদানির ওপর বেশ কিছু বিধিনিষেধও আরোপ করে কেন্দ্রীয় সরকার। যদিও পরবর্তী সময়ে পরিস্থিতি অনেকটাই শিথিল হয় এবং স্মার্টফোন বাজার আস্তে আস্তে স্বাভাবিক ছন্দ ফিরে আসে। কিন্তু বিগত সপ্তাহগুলিতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ভারতবর্ষকে পুনরায় জেরবার করে তুলেছে। সেক্ষেত্রে Xiaomi, Realme-এর মত ব্র্যান্ডগুলি প্রাথমিকভাবে নতুন ডিভাইস লঞ্চের পরিকল্পনা স্থগিত রাখলেও, এবার তারা ভারতে ফোনের শিপমেন্টের পরিমাণ কমিয়ে দেবে বলে জানা গিয়েছে। এমনকি শোনা যাচ্ছে Xiaomi ইতিমধ্যেই তার শিপমেন্টের পরিমাণ স্বাভাবিকের থেকে ২৫% কমিয়েছে।

রিপোর্ট অনুযায়ী, কোভিড-১৯ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব সংস্থাগুলির সাপ্লাই চেইনকে ব্যাহত করেছে, যার ফলে এই মুহূর্তে দেশে কাঁচামালের জোগান বা স্মার্টফোনের স্টক নেই। এছাড়া, সংস্থাগুলি তাদের স্মার্টফোনের জন্য প্রয়োজনীয় চিপ পেতে অক্ষম হয়ে পড়েছে বলেও রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে। তবে এই পরিস্থিতির জন্য যে কেবল করোনা মহামারী দায়ী – এমন নয়। ডিভাইস লঞ্চের মতই, শিপিংয়ের ক্ষেত্রেও সরকারের সবুজ সংকেত না মেলায় আমদানি কমছে বলে মনে হচ্ছে।

অন্যদিকে বলা হচ্ছে, তাইওয়ানে খরা দেখা দেওয়ায় চিপ সরবরাহের ওপর প্রভাব পড়েছে। কারণ তাইওয়ান, বিশ্বের বৃহত্তম চিপ প্রস্তুতকারক যেখানে কোয়ালকমসহ বিশ্বের প্রায় প্রতিটি ইলেকট্রনিক্স সংস্থার জন্য চিপ তৈরি হয়। তবে এছাড়াও শিপমেন্ট হ্রাসের আরো একটি কারণ হল বর্তমানে সংস্থাগুলির 4G স্মার্টফোনের চেয়ে 5G স্মার্টফোন তৈরির লক্ষ্যমাত্রা। কিন্তু এদেশে 5G নেটওয়ার্কের উপলভ্যতা তো এখন নেই-ই, বরঞ্চ ভারতীয় টেলিকম অপারেটররা আগামী ছয় মাসের মধ্যেও পঞ্চম প্রজন্মের নেটওয়ার্ক চালু করতে পারবে এমন সম্ভাবনা নেই। স্বাভাবিকভাবেই এই জাতীয় স্মার্টফোনের চাহিদা এখন কম।

সব মিলিয়ে এখন ভারতের শীর্ষস্থানীয় স্মার্টফোন ব্র্যান্ড, Xiaomi তার শিপমেন্টের লক্ষ্যমাত্রা ২৪০ মিলিয়ন থেকে কমিয়ে ১৯০ মিলিয়ন ইউনিটে দাঁড় করিয়েছে বলে রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে। এদিকে Realme, তার নির্দিষ্ট শিপমেন্টের পরিমাণ ২৯% কমিয়েছে। যার ফলে এদেশে সংস্থার ২০ মিলিয়ন ইউনিটের শিপিং হওয়ার কথা থাকলেও, এখন তারা মাত্র ১২ মিলিয়ন ইউনিটের শিপমেন্ট পাঠাবে বলে জানা গিয়েছে।

হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন

সঙ্গে থাকুন ➥