Hero Karizma XMR 210 উন্মাদনা বাড়িয়ে প্রথমবার রাস্তায় নামল, ফার্স্ট লুক দেখে নিন

বিগত ক’সপ্তাহ ধরে ভারতের বাজারে এক সময়কার কিংবদন্তি স্পোর্টস বাইক Hero Karizma-এর প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে জোর জল্পনা দানা বেঁধেছে। অনলাইনে ছড়িয়ে পড়েছে যার ছবি। XMR নামে আসতে চলেছে নতুন প্রজন্মের মডেলটি। হিরো মোটোকর্প (Hero MotoCorp)-এর সম্প্রতি Karizma XMR ও Karizma XMR 210 নামের জন্য এদেশে দায়ের করা ট্রেডমার্ক-কে ঘিরে গুঞ্জন নতুন দিশা পেয়েছে। এদিকে হিরো যে ভারত এবং আন্তর্জাতিক বাজারের জন্য নতুন রেঞ্জের মোটরসাইকেল তৈরি করছে, সেই তথ্য আর গোপন নেই।

Hero Karizma XMR ফিরতে চলেছে

বিশ্বের বৃহত্তম টু হুইলার সংস্থার লাইনআপে একটি ফ্ল্যাগশিপ ডুয়েল পারপাস অ্যাডভেঞ্চার টুরার এবং একটি ফুল ফেয়ার্ড মোটরসাইকেল আনার পরিকল্পনা করছে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ গত সাত মাস আগে প্রকাশিত ছবিতে এমনই মডেল ধরা পড়েছিল। এছাড়াও এন্ট্রি লেভেল প্রিমিয়াম টু-হুইলারের দিকেও নজর রয়েছে হিরো মোটোকর্পের। তাই এক্ষেত্রে Karizma-কে নতুন অবতারে হাজির করা ছাড়া, সংস্থার কাছে ভালো উপায় আর নেই।

বলার অপেক্ষা রাখে না, হিরোর তরফে বাজারে এলেও আসল Karizma-র স্বাদ দিতে সেগুলি অক্ষম। এবারে এই বাইকপ্রেমীদের জন্য সুখবর। ভারতের রাস্তায় টেস্টিং চলাকালীন এই প্রথম বাইকটির ছবি ফাঁস হল ইন্টারনেটে। যা দেখে অনুমান করা যায়, সুপার স্পোর্টস বাইকটি নতুন রূপে প্রত্যাবর্তন করতে চলেছে। এদেশে যার প্রতিপক্ষ হিসেবে রয়েছে Suzuki Gixxer SF 250।

Hero Karizma XMR-এর ফিচার্স

ছবিতে দেখা গিয়েছে, রাইডারের সিট নিচু হলেও ফুটপেগ পেছনদিকে খুব একটা বাড়ানো নেই। আবার আপরাইট ওয়াইড হ্যান্ডেলবার, অল ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট কনসোল, একটি অ্যাঙ্গুলার উইন্ডস্ক্রিন, পেশীবহুল ফুয়েল ট্যাঙ্ক এবং হেড অ্যাসেম্বলিতে রিয়ার ভিউ মিররের দেখা মিলেছে। অন্যান্য হাইলাইট হিসেবে রয়েছে স্প্লিট সিট, একটি স্লিক এলইডি টেলল্যাম্প, ডুয়েল স্পোক ব্ল্যাক অ্যালয় হুইল, ফ্রন্ট ও রিয়ার ডিস্ক ব্রেক (ডুয়েল চ্যানেল এবিএস সহ), এবং শার্প এলইডি টার্ন ইন্ডিকেটর। আবার টেলিস্কোপিক ফ্রন্ট ফর্ক এবং একটি মনোশক রিয়ার সাসপেনশনের দেখা মিলেছে।

সম্পূর্ণ ক্যামোফ্লেজে মোড়ানো মোটরসাইকেলটি ১০০/৮০-১৭ ও ১৩০/৭০-১৭ সেকশন টায়ার সমেত আসবে। শোনা যাচ্ছে ফুল-ফেয়ার্ড Hero Karizma XMR-এ চালিকাশক্তি জোগাতে থাকছে একটি ২১০ সিসি, সিঙ্গেল সিলিন্ডার, লিকুইড কুল্ড ইঞ্জিন। যা থেকে ২৫ বিএইচপি এবং ৩০ এনএম টর্ক উৎপন্ন হবে। ইঞ্জিনের সাথে সংযুক্ত থাকবে স্লিপার ক্লাচ ও ৬-স্পিড ট্রান্সমিশন। আশা করা হচ্ছে, ২০২৩-এর শেষ অথবা ২০২৪ এর শুরুতে বাজারে হাজির করা হতে পারে মোটরসাইকেলটি। এর প্রতিপক্ষ হিসেবে রয়েছে Bajaj Pulsar RS 200 ও KTM RC 200।