Petrol Diesel Price: ভোট মিটতেই বাড়ল তেলের দাম, লিটারে 100 টাকা খরচ কেন?

ভারতে পেট্রোল-ডিজেলের দাম দীর্ঘদিন ধরেই স্থির ছিল। তবে ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের পর প্রথম রাজ্য হিসাবে কর্ণাটক সরকার পেট্রোল ও ডিজেল লিটার পিছু দাম যথাক্রমে ৩ টাকা ও ৩.৫ টাকা মহার্ঘ্য করার কথা ঘোষণা করেছে। যে কারণে ফের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি। বর্তমানে বিভিন্ন রাজ্যে পেট্রোল-ডিজেলের গড় মূল্য দাঁড়িয়েছে ১০০ টাকা। মূলত করের পরিমাণ ভিন্ন হওয়ার কারণে বিভিন্ন রাজ্যে জ্বালানি তেলের দাম আলাদা হয়। বর্তমানে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, তেলের দাম কেন লিটার পিছু ১০০ টাকা? আজ তারই উত্তর রইল এই প্রতিবেদনে।

ক্রুড অয়েলের দাম

এ কথা অনেকেই জানেন আন্তর্জাতিক বাজারে ক্রুড অয়েলের দামের উপর নির্ভর করে পেট্রোল-ডিজেলের মূল্য ওঠানামা করে। বর্তমানে প্রয়োজনের ৮৫ শতাংশ জীবাশ্ম জ্বালানি বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয় ভারতকে। যে কারণে বিশ্ববাজারে ক্রুড তেলের দাম সামান্য হেরফের হলেও জ্বালানি তেলের উপর তা সরাসরি প্রভাব ফেলে।

ডলার এবং ভারতীয় মুদ্রার বিনিময় হার

আন্তর্জাতিক বাজারে ক্রুড অয়েলের মূল্য ডলারে মেটানো হয়। ভারতে ডলারের সমপরিমাণ টাকার অঙ্কের হিসেবে পেট্রোল-ডিজেলের দর নির্ধারিত হয়। ডলারের তুলনায় ভারতীয় মুদ্রার দাম কমলে জীবাশ্ম জ্বালানি আমদানি করার ক্ষেত্রে ব্যারেল পিছু অতিরিক্ত অর্থ প্রদান করতে হয়। যে কারণে পেট্রোল-ডিজেলের দাম বেড়ে যায়।

কেন্দ্রীয় সরকারের এক্সাইজ ডিউটি

উপরিউক্ত কারণগুলি ছাড়াও জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর কেন্দ্রীয় সরকারের ধার্য এক্সসাইজ ডিউটি ও অন্যান্য করের কারণে তেলের দাম চড়চড়িয়ে বেড়ে যায়। জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর ধার্য কর কেন্দ্রীয় সরকারের অন্যতম আয়ের পথ।

রাজ্য সরকারগুলির ভ্যাট

কেন্দ্রীয় সরকারেরের পাশাপাশি রাজ্যগুলিও জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে ভ্যালু অ্যাডেড ট্যাক্স বা ভ্যাট নিয়ে থাকে। এক্সাইজ ডিউটি ও অন্যান্য বিষয়ের উপর নির্ভর করে ভ্যাটের পরিমাণ ধার্য করা হয়। এই ভ্যাট বিভিন্ন রাজ্য সরকার বিভিন্ন পরিমাণে নিয়ে থাকে। যে কারণে রাজ্য বিশেষে পেট্রোল-ডিজেলের দামে ফারাক নজরে পড়ে।