সর্বক্ষণ Smartphone ব্যবহার করেন? এই 5 নিয়ম মাথায় না রাখলে দিন কাটাতে হবে জেলে

Avatar

Published on:

Remember 5 things while using Smartphone otherwise land to jail

স্মার্টফোন এখন আমাদের জীবনে অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মতই গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দখল করে নিয়েছে – শিশু থেকে বৃদ্ধ সবাই এই ফোন ব্যবহার করে। বলতে গেলে, প্রতিটা মুহূর্ত চলার জন্যও যেন এখন এই খুদে যন্ত্রটি দরকার – তা সে ফোন কল, মেসেজ করার জন্যই হোক কিংবা কোনো কাজ করা, ইন্টারনেট ব্যবহার ইত্যাদি নানা প্রয়োজন মেটাতে হোক। আবার বাড়ির বাচ্চাটিকে খাওয়াতে, কান্না ভোলাতেও এখন খেলনার পরিবর্তে জায়গা করে নিয়েছে স্মার্টফোনই। কিন্তু আপনি কি জানেন যে, এই স্মার্টফোনের যেমন খুশি ব্যবহার আপনাকে অনেক ঝামেলার মুখে ফেলতে পারে? হ্যাঁ ঠিকই বলছি। আসলে অনেকেই স্মার্টফোনের সঠিক ব্যবহার তথা কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে অবগত নন, অথচ এগুলি খেয়াল না রাখলে ভবিষ্যতে জেলে যেতে হতে পারে। কী এমন গুরুতর বিষয় সেগুলি? আসুন এক নজরে দেখে নিই।

স্মার্টফোন ব্যবহারের সময় মাথায় রাখুন এই কয়েকটি বিষয়, নাহলে পড়বেন বড় ঝামেলায়

১. কাউকে ফোনে হুমকি দেবেন না: ফোন কলে/মেসেজে কাউকে গালি বা প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া উচিত নয়। কারণ এই বিষয়ে কেউ থানায় অভিযোগ করলে আপনাকে জেলে যেতে হতে পারে।

২. ভুলভাল সার্চ করবেন না: ফোনে হুটহাট করে কিছু সার্চ করা বা নিষিদ্ধ কোনো তথ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া উচিত নয়। যেমন, কোনো দেশে যদি একটি সিনেমা নিষিদ্ধ হয় এবং আপনি যদি সেটি অ্যাক্সেস করার চেষ্টা করেন, তাহলে এটি একটি অপরাধ হিসাবে বিবেচিত হবে। আবার ধর্ষণের শিকার হওয়া ব্যক্তির নাম সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়ার ওপর রয়েছে বিধিনিষেধ।

৩. দাঙ্গায় উস্কানি: আপনার ফোন কল বা সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট থেকে যদি দাঙ্গা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, তাহলে আপনার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনা হতে পারে। আর এর জন্য হতে পারে জেল-জরিমানার মত শাস্তি।

৪. শ্লীলতাহানি বা দুর্ব্যবহার: কারো অনুমতি ছাড়া ছবি তোলা এবং তা সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া অপরাধ। এমনটা হলে আপনাকে দিন কাটাতে হতে পারে হাজতে। এছাড়াও, আপনি যদি সোশ্যাল মিডিয়ায় কাউকে নোংরা বা অশ্লীল মেসেজ পাঠান, তাহলে সেক্ষেত্রেও আপনাকে জেলে যেতে হতে পারে।

৫. কপিরাইট আইন: কারো শৈল্পিক কাজ, চলচ্চিত্র, সাহিত্য এমনকি অ্যাপের আইডিয়া কপি করা উচিত নয়। অনুমতি ছাড়া নিজের সুবিধার জন্য এমন কাজ করলে আপনার বিরুদ্ধে কপিরাইট আইন লঙ্ঘনের মামলা দায়ের করা যেতে পারে এবং আপনাকে যেতে হতে পারে জেলে।

সঙ্গে থাকুন ➥