বাজেটে সেরা অ্যাডভেঞ্চার বাইক Royal Enfield Himalayan, কেনার আগে ভাল-খারাপ দিকগুলি জেনে নিন এখানে

Updated on:

Royal Enfield Himalayn নাম উচ্চারণ করলেই  চোখের সামনে ভেসে ওঠে বড় চাকাওয়ালা রাগেড ডিজাইনের এক দৈত্যাকার বাইকের ছবি। প্রকৃত অর্থেই নামের সঙ্গে সাজুজ্য রেখে চেহারায় পাহাড় প্রমান রয়্যাল এনফিল্ডের এই অ্যাডভেঞ্চার মোটরসাইকেল। সালটা ২০১৬, তখন এই ধরনের বাইকের ততটা রমরমা ছিল না এ দেশে। ঠিক তখনই বাজারে আসে অসাধারণ ক্ষমতাযুক্ত “হিমালয়ান”। সমান রাস্তা থেকে উঁচু-নিচু পথ, এক কথায় সমতল থেকে পাহাড়-জঙ্গলের দুর্গম পথ সবেতেই চালাতে স্বাচ্ছন্দ এই বাইকে।

তবে বাজারে উপলব্ধ অন্যান্য বাইকগুলির মতো Royal Enfield Himalayn এর ভাল ও খারাপ দুটোই আছে। তাই সেকেন্ড-হ্যান্ড হিমালয়ান কেনার পরিকল্পনা করলে আপনাকে জেনে নিতে হবে সুবিধা ও অসুবিধার কথা। প্রথমেই আমরা পরামর্শ দেব, ২০১৮ সালের পরে তৈরি হয়েছে এমন মডেল কিনতে৷ এক নজরে এবার এই অ্যাডভেঞ্চার মোটরসাইকেলের ভাল ও মন্দ দিকগুলি দেখে নেওয়া যাক।

Royal Enfield Himalayn ভাল দিক

রয়্যাল এনফিল্ড হিমালয়ান চালাতে খুব আরাম। ব্যবহারকারীরা সে কথা বারবার বলেন। লম্বা দূরত্ব হোক কিংবা প্রতিদিনের যাতায়াত সবেতেই এ সেরা। ২৪.৫ বিএইচপি ক্ষমতা এবং ৩২ এনএম টর্ক যুক্ত ৪১১ সিসির ফোর-স্ট্রোক ইঞ্জিন দ্বারা পরিচালিত এই বাইক। ২০১৮-এর পরে এই বাইকে এবিএস ও ফুয়েল ইঞ্জেকশন ইঞ্জিন যোগ করা হয়েছে। তাই এই দুই বৈশিষ্ট্য রয়েছে কিনা, সেটা মালিকের কাছ থেকে আগে শুনে নেবেন।

অতিরিক্ত গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স, লম্বা সাসপেনশন ও খুব ভালো গ্রিপ যুক্ত চাকা থাকায় খুব স্বাচ্ছন্দেই দুর্গম থেকে দুর্গমতম পথে চলতে পারে হিমালয়ান‌। তাই লাদাখ কিংবা সিকিম যাওয়ার জন্য আদর্শ এই বাইক। এছাড়াও মেরামতি এবং রক্ষণাবেক্ষণের খরচা সমগোত্রীয় দামি বাইক থেকে তুলনামূলকভাবে অনেকটাই কম। রয়্যাল এলফিল্ডের মত নির্মাতার সারা ভারতব্যাপী সার্ভিস নেটওয়ার্ক থাকার ফলে রাস্তায় বেরিয়ে যে কোনো রকম সমস্যায় পড়লে খুব সহজেই তা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব।

Royal Enfield Himalayn খারাপ দিক

ঝাঁকুনি কমানোর জন্য হিমালয়ানের ইঞ্জিনেই রয়্যাল এনফিল্ড প্রথম ব্যালেন্স শ্যাফ্ট দিয়েছিল। কিন্তু প্রথম কার্বুরেটর (২০১৬-২০১৮) ইঞ্জিন নিয়ে গ্রাহকদের অনেক অভিযোগ জমা পড়ে  ইঞ্জিনের ভেতরে নানা সমস্যা দেখা যেত। ফলে ভরসাযোগ্য কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। আবার এটাও মাথায় রাখতে হবে, হিমালয়ান কিন্তু ভারী মোটরসাইকেল। ওজন ১৯১ কেজি হওয়ার কারণে অফ-রোডে বেশি সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। কম উচ্চতাসম্পন্ন রাইডারদের এই মডেলটি এড়িয়ে চলাই ভালো। সবশেষে, অভিজ্ঞতাসম্পন্ন হলে অনেক সময় হিমালয়ানকে আন্ডারপাওয়ার্ড বলে মনে হতে পারে।

সঙ্গে থাকুন ➥