ভারতে নিষিদ্ধ হচ্ছে Amazon? উঠলো গুরুতর অভিযোগ

Avatar

Published on:

অনলাইন শপিংয়ের ক্ষেত্রে একটি ভরসাযোগ্য নাম হল অ্যামাজন (Amazon)। বর্তমানে এই ই-কমার্স জায়ান্ট প্ল্যাটফর্মটির ১০০ মিলিয়নেরও বেশি রেজিস্ট্রার্ড ইউজার রয়েছে। কিন্তু এবার, সাম্প্রতিক সময়ে ঘটতে থাকা নানাবিধ বিতর্কিত ঘটনার মধ্যে, নতুন করে বিতর্কে জড়ালো amazon.com ইনকর্পোরেটের ভারতীয় শাখাটি। রিপোর্ট অনুযায়ী, গত বুধবার ভারতের রিটেলারদের একটা বড় অংশ, এদেশে অ্যামাজনকে নিষিদ্ধ করার জন্য কেন্দ্র সরকারের কাছে আবেদন করেছে। তাদের দাবি, এই মার্কিন ই-কমার্স সংস্থাটি কিছু নির্দিষ্ট সেলারকে ব্যবসায় বাড়তি সুবিধা দিচ্ছে। এই ঘটনায় ভারতের কঠোর বিদেশি বিনিয়োগ নীতিও লঙ্ঘন হচ্ছে বলে তাদের অভিমত।

আসলে, সংবাদ সংস্থা রয়টার্স একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, যেখানে তারা ২০১২ থেকে ২০১৯ অবধি সময়ের অ্যামাজনের একটি আভ্যন্তরীণ রিপোর্ট ফাঁস করেছে। উক্ত রিপোর্ট দেখে মনে হচ্ছে, অ্যামাজন তার কর্পোরেট কাঠামো রক্ষা করার জন্য অত্যন্ত চতুরভাবে ভারত সরকারের বিদেশী বিনিয়োগ বিধিগুলিকে এড়িয়ে গেছে। সরকার, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সমর্থন করার জন্য যতবার এই ধরণের নীতিগুলিতে পরিবর্তন এনেছে ততবারই চোর-পুলিশ খেলার মত কৌশলে গা বাঁচিয়েছে বিপণন সংস্থাটি। এদিকে রয়টার্সের প্রতিবেদন দেখামাত্রই নড়েচড়ে বসেছে ভারতের ব্যবসায়ী সংগঠনগুলি!

এই বিষয়ে ৮০ লক্ষ রিটেইল স্টোরের প্রতিনিধি, CAIT (কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স) বেশ উষ্মার সাথে জানিয়েছে যে এই ঘটনাটি অত্যন্ত বিস্ময়কর; সেক্ষেত্রে রয়টার্সের প্রতিবেদনটি ভারতে অ্যামাজনের ব্যবসা নিষিদ্ধ করার পক্ষে যথেষ্ট বড় প্রমাণ বলেও দাবি করেছে CAIT। ইতিমধ্যে তারা, বাণিজ্যমন্ত্রী পীযুশ গোয়েলকে গোটা বিষয়টি জানিয়ে কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার আর্জি প্রকাশ করেছেন।

প্রাথমিকভাবে এই বিতর্কে বা ব্যবসায়ী গ্রুপগুলির বক্তব্যে অ্যামাজন কোনো প্রতিক্রিয়া না দিলেও, সংস্থাটি, টুইটারে রয়টার্সের ওই বিতর্কিত রিপোর্ট সংক্রান্ত পোস্ট রিটুইট করে সেটিকে ভ্রান্ত, অসম্পূর্ণ এবং ভুলে ভরা বলে দাবী করেছে। তাছাড়া সংস্থাটি দাবি করেছে যে, তারা ভারত সরকারের আইন বিধি মেনেই সমস্ত কর্মকান্ড পরিচালনা করে। অ্যামাজনের মতে, তারা বিগত কয়েক বছরে তাদের ব্যবসায়িক রীতিনীতিতে বেশ কিছু পরিবর্তন এনেছে; সংস্থার বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগই অবান্তর। নিজেদের সমর্থনে বেশ কিছু নথিও প্রকাশ করেছে ই-কমার্স ওয়েবসাইটটি।

প্রসঙ্গত, অ্যামাজনের এই নির্দিষ্ট ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সংস্থাকে বাড়তি সাহায্য পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ নতুন নয়। সেক্ষেত্রে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠা এই নতুন বিতর্ক সংস্থার জন্য এবার সত্যিই কোনো ঝুঁকি সৃষ্টি করে কিনা বা মোদী সরকার, অ্যামাজনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক কোনো পদক্ষেপ নেয় কিনা সেটাই দেখার!

হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন

সঙ্গে থাকুন ➥