Manned Moon Missions: গোটা বিশ্বকে চমকে দিয়ে চাঁদে মানুষ পাঠাচ্ছে চীন

Avatar

Published on:

চাঁদের সৌন্দর্যের প্রতি মানবজাতি যতটাই মোহিত, মহাকাশ বিজ্ঞান পৃথিবীর এই উপগ্রহকে নিয়ে ঠিক ততটাই উৎসুক! সেক্ষেত্রে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে চাঁদকে কেন্দ্র করে, প্রতিবেশী দেশ চীনের পরিকল্পিত উচ্চাকাঙ্ক্ষী মিশনগুলি আমাদের কাছে কোনো অপরিচিত বিষয় নয়। দু বছর আগে ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে, চীন বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে চাঁদের সুদূর পৃষ্ঠে একটি প্রোব (শলা) অবতরণ করে হইচই ফেলেছিল। তবে চন্দ্র ভ্রমণের ক্ষেত্রে নিজের প্রভাব বিস্তার করতে, এবার তারা চাঁদে মানব অবতরণ (Manned Moon Missions) করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে শোনা গিয়েছে। এক মাসেরও বেশি সময় আগে প্রকাশিত জিয়ামেন ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোনটিক্সের রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশটি এই বিশেষ চন্দ্র অভিযানের জন্য ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করেছে।

চাঁদকে নিয়ে নয়া অভিযান পরিকল্পনা চীনের

উক্ত রিপোর্টে চীনের লুনার ল্যান্ডিং প্রোজেক্টকে একটি ‘জাতীয় কৌশল’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে এবং এর সাথে জড়িত কিছু বিশেষ ব্যক্তির নাম প্রকাশ করা হয়েছে। এছাড়া জানা গিয়েছে যে, চায়না অ্যাকাডেমি অব স্পেস টেকনোলজি (CAST) অর্থাৎ চায়না অ্যারোস্পেস সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির বিশেষ শাখাটি মানুষের উপযোগী একটি নতুন যান নিয়ে কাজ করছে। এটি আসলে চীনের মুন মিশনেরই একটি অংশ বলে অনুমান করা হচ্ছে।

যদিও আসন্ন ল্যান্ডারের বিকাশের জন্য চীন ঠিক কী ভাবছে তা প্রকাশ করা হয়নি। তবে তারা যে চাঁদে মানব অবতরণের পরিকল্পনা করছে সে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

উল্লেখ্য এই বছরের শুরুর দিকে, মার্চ মাসে চীন ঘোষণা করেছিল যে তারা চন্দ্র প্রকল্পের উপযোগী সুপার-হেভি লঞ্চ যানবাহনের ওপর কাজ করছে। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে, চায়না একাডেমি অফ লঞ্চ ভেহিকেল টেকনোলজি (CALT) একটি নতুন প্রজন্মের ক্রু লঞ্চ যানের পাশাপাশি একটি ভারী লঞ্চ যান তৈরি করবে বলেও জানা গিয়েছে। যদিও ওই সময়ে চাঁদে পদার্পণ করার কোনো পরিকল্পনার কথা শোনা যায়নি। তবে পরবর্তী পাঁচ বছরের মধ্যে দেশটির এই পরিকল্পনার প্রতিফলন ঘটবে বলে আশা করা যায়।

হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন

সঙ্গে থাকুন ➥