হালফিলে দেশের টেলিকম অপারেটরগুলিকে স্বস্তিতে ব্যবসার সুযোগ করে দেওয়ার পর, এবার সাধারণ মানুষের জন্যও নতুন সুবিধা চালু করল সরকার। মন্ত্রিসভার ঘোষণা অনুযায়ী, এবার নতুন সিম কিনতে বা রেজিস্ট্রেশন করতে কোনো ফিজিক্যাল ফর্ম পূরণ করতে হবে না। পরিবর্তে নেটওয়ার্ক পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলিই এখন ফর্মটি ডিজিটালভাবে পূরণ করার কাজ করবে। শুধু তাই নয়, সরকারের নতুন নিয়ম কার্যকরী হলে প্রিপেইড থেকে পোস্টপোইড বা তদ্বিপরীত সিম ট্রান্সফার করার ক্ষেত্রেও কম খরচসহ আরো কিছু সুবিধা মিলবে বলে জানা গিয়েছে।
সিম কানেকশন নেওয়ার নতুন নিয়ম
সরকারের নতুন নিয়মে বলা হয়েছে যে, কোনো গ্রাহক নতুন মোবাইল নম্বর বা টেলিফোন সংযোগ নিতে চাইলে তার কেওয়াইসি (KYC) প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ ডিজিটালভাবে সম্পন্ন হবে। এতে গ্রাহকদের কেওয়াইসির জন্য কোনো ধরনের কাগজ জমা দিতে হবে না। একইভাবে, প্রিপেইড থেকে পোস্টপেইডে কানেকশন স্থানান্তরের জন্য কোনো ফর্ম পূরণ করতে হবে না। এই সমস্ত কাজের জন্য ডিজিটাল কেওয়াইসি মাধ্যমই উপযোগী হবে। বিদ্যমান নিয়মের কথা বললে, এখনো পর্যন্ত প্রত্যেক গ্রাহককে তাদের প্রিপেইড নম্বর পোস্টপেইডে বা পোস্টপেইড থেকে প্রিপেইডে রূপান্তরিত করার সময় প্রতিবার কেওয়াইসি করাতে হয়। কিন্তু নতুন নিয়ম কার্যকরী হলে, গ্রাহকদের শুধুমাত্র কেওয়াইসি সম্পন্ন করতে হবে।
মজার ব্যাপার, এক্ষেত্রে ইউজাররা কোনো তৃতীয় ব্যক্তির সাহায্য ছাড়াই টেলিকম কোম্পানির অ্যাপের মাধ্যমে (সেল্ফ কেওয়াইসির সাহায্যে) কেওয়াইসি জমা করতে পারবেন। আবার এই গোটা প্রক্রিয়ার জন্য খরচ হবে মাত্র ১ টাকা। সুতরাং মূল্যবৃদ্ধির জমানায় এবং ব্যস্ত জীবনে এ যে এক স্বস্তির নিয়ম তাতে সন্দেহ নেই!
কীভাবে সেল্ফ কেওয়াইসি করবেন
১. সেল্ফ কেওয়াইসি বা স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডিজিটালি সেল্ফ কেওয়াইসি সম্পন্ন করার জন্য প্রথমে নেটওয়ার্ক সার্ভিস প্রোভাইডারের নির্দিষ্ট অ্যাপ ফোনে ডাউনলোড করতে হবে।
২. এরপর প্রয়োজনীয় রেজিস্ট্রেশন সারতে হবে, যেখানে বিকল্প ফোন নম্বর দিতে হবে।
৩. সেই নম্বরে ওটিপি ভেরিফিকেশন করে লগইন করতে হবে।
৪. সবশেষে ‘সেলফ কেওয়াইসি’ অপশন নির্বাচন করে সমস্ত তথ্য প্রবেশ করলেই কেল্লাফতে।