ভারতের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে NASA তে কাজ, যোগেশ্বর নাথ মিশ্র বানালেন বিশ্বের দ্রুততম লেজার ইমেজ প্রযুক্তি

Avatar

Published on:

NASA Invented worlds Fastest laser Imaging Technology

বিশ্বদরবারে আবারো ভারতের নাম উজ্জ্বল করলেন তরুণ বিজ্ঞানী যোগেশ্বর নাথ মিশ্র। তিনি নাসা (NASA)-র একটি বিশেষ দলের হয়ে গবেষণা করেছেন। যদিও উত্তরপ্রদেশের আজমগড় থেকে ক্যালিফোর্নিয়া পর্যন্ত যোগেশ্বরের সফর সহজ ছিল না। ছোট একটি শহর থেকে উঠে আসা এই তরুণ বিজ্ঞানীর বাবা, যিনি পেশায় একজন কৃষক, নিজের আর্থিক অবস্থাকে যোগেশ্বরের স্বপ্ন পূরণের পথে বাঁধা হয়ে উঠতে দেননি। বরং চেষ্টা করেছিলেন কিভাবে তার ছেলে এবং বিজ্ঞানের মধ্যে সম্পর্ক অটুট রাখা যায়। একজন পিতার সংগ্রাম এবং ত্যাগ স্বীকারের ফলশ্রুতি হিসাবে ভারতের ছেলে ‘ক্যালটেক’ (Caltech) নামের ‘ন্যাশনাল এরোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ (NASA) দলের অংশ হতে পেরেছে। যে দল, বিশ্বের দ্রুততম লেজার শীট ইমেজিং প্রযুক্তি আবিষ্কার করে তাকে লাগিয়ে দিয়েছে বিশ্ববাসীকে। যোগেশ্বরদের দ্বারা আবিষ্কৃত এই নব্য প্রযুক্তি, আগুনের শিখায় উপস্থিত ন্যানো পার্টিকেলের গবেষণায় সাহায্য করতে পারে বলে দাবি করা হচ্ছে।

যোগেশ্বর নাথ মিশ্র বিশ্বের দ্রুততম লেজার ইমেজ প্রযুক্তি তৈরি করে তাকে লাগালেন বিশ্ববাসীকে

ক্যালটেকের নাসা-জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরিতে অনুশীলনরত যোগেশ্বর নাথ মিশ্র সহ একদল বিজ্ঞানী, বিশ্বের দ্রুততম লেজার ইমেজ প্রযুক্তি তৈরি করার জন্য যথেষ্ট প্রসংশিত হয়েছেন।

বিজ্ঞানের প্রতি নিজের অনুভূতিকে ব্যক্ত করতে গিয়ে মিশ্র জানিয়েছেন, “আমি ছোটবেলা থেকেই বিজ্ঞানের জগতের প্রতি আকৃষ্ট ছিলাম। প্রয়াত মহাকাশ বিজ্ঞানী তথা প্রাক্তন ভারতীয় রাষ্ট্রপতি এপিজে আব্দুল কালাম সহ কল্পনা চাওলা এবং সিভি রমন দ্বারা আমি বিশেষভাবে অনুপ্রাণিত।”

যোগেশ্বর নাথ মিশ্রদের গবেষণা সম্প্রতি ‘নেচার লাইট সায়েন্স অ্যান্ড অ্যাপ্লিকেশন’ (Nature Light Science & Application) জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে তিনি বলেছেন, “একটি রেগুলার ক্যামেরা ৩০ ফ্রেম পার সেকেন্ড (fps) রেটে ছবি তুলে থাকে। আর আমরা প্রতি সেকেন্ডে ১২.৫ বিলিয়ন ফ্রেম রেট অর্জন করেছি। বিদ্যমান সিস্টেমে, এরিয়া লিমিট করে একটি লেজার লাইট দ্বারা ছবি ক্লিক করা হয়। যেখানে আমরা বর্তমানে লেজার শীট ইমেজিং প্রযুক্তির উপর কাজ করছি। সহজ কথায় বললে, এই প্রযুক্তি একটি সমতলের দ্বি-মাত্রিক ইনফর্মেশন দেয়।”

যোগেশ্বর নাথ মিশ্রের মতে, এটি প্ল্যানার ইমেজিংয়ের ক্ষেত্রে সবচেয়ে ‘ফাস্ট ইনোভেশন’। একই ধরনের ছবি তোলার জন্য ব্যবহৃত আধুনিক আল্ট্রা-ফাস্ট ক্যামেরা প্রতি সেকেন্ডে সর্বাধিক ১ মিলিয়ন ফ্রেম রেট অফার করে। কিন্তু তাদের আবিষ্কার ১২.৫ বিলিয়ন ফ্রেম পার সেকেন্ড রেট রেকর্ড করেছে। জানিয়ে রাখি, নাসার ক্যালটেক দলটি স্ট্রিক ক্যামেরা প্রযুক্তির সাথে কম্প্রেসড সেন্সিংকে একত্রিত করতে সক্ষম হয়েছে।

সঙ্গে থাকুন ➥