বর্তমানে আমরা যতো বেশি ইন্টারনেটের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছি, ততই বাড়ছে অনলাইন জালিয়াতি এবং ম্যালওয়্যার বা হ্যাকিং আক্রমণ। এমনিতে একাংশ মানুষই এখন অনলাইনে শপিং করতে পছন্দ করেন, অন্যদিকে এই করোনা পরিস্থিতিতে ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মগুলির ওপর নির্ভরশীলতা আরো বেড়েছে। আর ঠিক এই বিষয়টিকেই হাতিয়ার করে নিজেদের পকেট ভরাতে চাইছে কিছু অসাধু ব্যক্তি। এক্ষেত্রে তারা ভুয়ো মেসেজ বা মেল পাঠিয়ে সাধারণ মানুষকে বোকা বানাচ্ছে।
এখন থেকে আপনি যদি কুরিয়ার ডেলিভারি সার্ভিসের তরফ থেকে কোনো কল বা এসএমএস পান, সেক্ষেত্রে ভাবনা-চিন্তা করে তবেই পদক্ষেপ নেবেন। বর্তমানে লকডাউন উঠে যাওয়ায় বিভিন্ন ডেলিভারি সংস্থা আগের মতই গ্রাহকের কাছে অর্ডারগুলি পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করবে। এদিকে, সম্প্রতি একটি অনলাইন কেলেঙ্কারীর কথা সামনে এসেছে, যেখানে স্ক্যামাররা ওইসব এজেন্সির নাম ব্যবহার করে গ্রাহকদের মেল বা এসএমএস পাঠাচ্ছে। ওই মেসেজ বা মেলে দাবি করা হচ্ছে, আপনার কুরিয়ার পেন্ডিং অবস্থায় রয়েছে এবং সংস্থা যথাসময়ে প্যাকেজটির ডেলিভারি দিতে পারেনি।
এছাড়া জানা গিয়েছে, ওই ধরণের মেসেজগুলিতে গ্রাহকদের থেকে তাদের ব্যক্তিগত বিবরণ জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে এবং অনেক ক্ষেত্রে তাদের থেকে স্বল্প অ্যামাউন্ট ডেলিভারি চার্জ চাওয়া হচ্ছে। সাধারণত, ডেলিভারি ফি হিসেবে নেওয়া হচ্ছে ১০ টাকা বা ২০ টাকা, কিন্তু উৎসাহের বশে একটু অসাবধান হলেই আপনি জালিয়াতদের ফাঁদে পা দেবেন। আসলে, ওই মেসেজ বা মেলগুলিতে স্ক্যামাররা একটি লিঙ্ক পাঠাচ্ছে যেখানে ক্লিক করলেই মুহূর্তের মধ্যে আপনার ইন্টারনেট ব্যাংকিং বা ক্রেডিট কার্ড ডিটেইলস চুরি হয়ে যাবে।
প্রসঙ্গত, এর আগেও এই ধরণের কেলেঙ্কারীর কথা জানিয়েছিল জনপ্রিয় ডেলিভারি সার্ভিস কোম্পানি ফেডেক্স (FedEx)। তবে এখন মনে করা হচ্ছে, স্ক্যামাররা অন্যান্য কুরিয়ার সংস্থার নামও ব্যবহার করছে। এই ধরণের পরিকল্পনা করে তারা গ্রাহকদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে অর্থ চুরি করার চেষ্টা করছে।
অতএব মাথায় রাখবেন, আপনার অনলাইন অর্ডার বা কুরিয়ার সার্ভিস কনফার্ম বুকিং হয়ে গেলে সংস্থা এই ধরণের কোনো মেসেজ পাঠাবেনা এবং আপনাকে কোনো আলাদা ফর্মে ব্যক্তিগত তথ্য সরবরাহ করা বা অতিরিক্ত টাকা ফি হিসেবে দিতে হবেনা।