Nissan Magnite ‘ভারতে তৈরি এবং সমগ্র বিশ্বের জন্য’ স্লোগানকে সামনে রেখে এগিয়ে চলেছে, ১৫টি দেশে রপ্তানি, ৭৮ হাজার বুকিং

Avatar

Published on:

Nissan India (নিসান ইন্ডিয়া) ২০২০-এর ডিসেম্বরে তাদের নতুন সাব কম্প্যাক্ট এসইউভি, Magnite (ম্যাগনাইট) ভারতে লঞ্চ করেছিল। নিসান তখন ধারনা করে উঠতে পারেনি, ম্যাগনাইট বাজারে রীতিমতো ব্লকবাস্টার হিট হয়ে উঠবে৷ বর্ষসেরার বিভিন্ন পুরস্কার ইতিমধ্যেই গাড়িটির ঝুলিতে এসেছে। ভারতের বাজারে গাড়িটি যেমন দারুণ বিক্রি হচ্ছে, তেমনই প্রচুর মানুষ অপেক্ষার মেয়াদের কথা ভেবে আগেভাগে বুকিং সেরে ফেলছেন।

ভারতের বাজারে পা রাখার ১ বছরের মধ্যে ম্যাগনাইট-এর ৭৮ হাজার বুকিং হয়েছে বলে ঘোষণা করেছে নিসান। “ভারতে তৈরি এবং সমগ্র বিশ্বের জন্য”, এই স্লোগানকে সামনে রেখেই এগিয়ে চলেছে নিসান ম্যাগনাইট। বর্তমানে গাড়িটি সংস্থার চেন্নাইয়ের কারখানায় তৈরি হচ্ছে। আবার ভারতের মাটিতে উৎপাদিত ম্যাগনাইট ১৫টি দেশে রপ্তানি করা হয়।

বর্তমানে নিসান ম্যাগানাইট ভারতের ছাড়াও ইন্দোনেশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, নেপাল, ভুটান, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, ব্রুনাই, উগান্ডা, কেনিয়া, সিসেলিস, মোজাম্বিক, জাম্বিয়া, তানজানিয়া মালাউই, এবং মরিশাসের বাজারে উপলব্ধ। গত মাসের পরিসংখ্যান বলছে নিসান আজ পর্যন্ত ৬,৩৪৪টি ম্যাগনাইট এই দেশগুলোতে রপ্তানি করেছে।

অতিমারি এবং সেমিকন্ডাক্টর চিপের অভাব সত্বেও লঞ্চের পর থেকে ৪২ হাজারের উপরে ম্যাগনাইট চেন্নাইয়ে উৎপাদিত হয়েছে। যে কারণে স্বীকৃতি এসেছে সংস্থার সদর দপ্তর থেকে৷ নিসান ইন্ডিয়ার পরিচালন বিভাগ সংস্থার গ্লোবাল প্রেসিডেন্টের অ্যাওয়ার্ড জিতেছে।

ম্যাগনাইট-এর প্রশংসার সুর শোনা গিয়েছে সংস্থার চেয়ারপারসন কার্টারের বক্তব্যে। তিনি বলেন, “এটি একটি ব্যতীক্রমী গাড়ি এবং নিসান-এর ডিজাইন ও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পাশাপাশি ভারতের উৎপাদন শক্তি এবং দক্ষতার একটি পরিচয়।” অন্য দিকে, নিসান ইন্ডিয়া-র প্রেসিডেন্ট সিনান ওজকক জানান, “ম্যাগনাইট আমাদের মেন ইন ইন্ডিয়া ও মেক ফর দ্য ওয়ার্ল্ডে দর্শনের সত্যিকারের প্রতিফলন৷ আমরা ‘বিগ, বোল্ড এবং বিউটিফুল’ নিসান ম্যাগনাইট সারা বিশ্বের মধ্যে ১৫টি দেশের বাজারে রপ্তানি করতে পেরে গর্বিত।

প্রসঙ্গত, মডেল অনুযায়ী নিসান ম্যাগনাইট-এর মূল্য ৫.৭৬ লক্ষ থেকে সর্বোচ্চ ১০.১৫ লক্ষ (দিল্লির এক্স-শোরুমের দাম)। এটি ৭১ এইচপি ক্ষমতার ১.০ লিটার ন্যাচারাল পেট্রল ইঞ্জিন এবং ৯৮ এইচপি ক্ষমতার ১.০ লিটার টার্বোচার্জড পেট্রল ইঞ্জিনের বিকল্পে উপলব্ধ। দেশের বাজারে গাড়িটির সঙ্গে টাটা নেক্সন, রেনো কিগার, কিয়া সনেট-এর প্রতিযোগিতা চলে।

সঙ্গে থাকুন ➥