আবিষ্কার হল দ্বিতীয় ‘পৃথিবী’, সূর্যের মত তারও আছে নক্ষত্র

Avatar

Published on:

বিজ্ঞানীরা হয়তো আবার আবিষ্কার করে ফেলেছেন পৃথিবীর মতো দেখতে একটি এক্সোপ্ল্যানেট যা সূর্যের মতো একটি নক্ষত্রের চারিদিকে ঘোরে। এটি আমাদের পৃথিবী থেকে প্রায় ৩,০০০ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত রয়েছে। এই নতুন গ্রহটির নাম দেওয়া হয়েছে “Planet KOI-405.04” । যদিও এখনো পর্যন্ত এই এক্সোপ্ল্যানেটের অস্তিত্ব সম্পূর্ণরূপে প্রমাণিত হয়নি তবুও মনে করা হচ্ছে এই গ্রহটি পৃথিবীর সঙ্গে বেশ কিছু ভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ। পৃথিবীর এবং সূর্যের মধ্যে যতটা দূরত্ব ঠিক ততটাই দূরত্ব এই গ্রহটির এবং তার নক্ষত্র অর্থাৎ কেপলার-১৬০-র মধ্যেও। এই গ্রহটি তার নিজের কক্ষপথে নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করতে সময় নেয় ৩৭৮ দিন। এছাড়াও সূর্য থেকে পৃথিবী যতটা আলো পেতে পারে তার ৯৩% আলো এই গ্রহটিও তার নক্ষত্রের থেকে পায়।

এখনো পর্যন্ত যে কটি এক্সোপ্ল্যানেট আবিষ্কার হয়েছে সেগুলি লাল বামন গ্রহের আশেপাশে, এবং এই গ্রহগুলিতে জীবনধারণের অনুকূল পরিবেশ নেই, কারণ এগুলি অত্যন্ত উচ্চ শক্তি সম্পন্ন রশ্মি এবং রেডিয়েশন বের করতে পারে। অ্যাস্ট্রোনমি এবং অ্যাস্ট্রোফিজিক্স জার্নালে গত সপ্তাহে বেরোনো একটি আর্টিকেল থেকে জানা গিয়েছে, এই গ্রহটি অর্থাৎ KOI-456.04 কেপলার-১৬০-র চতুর্থ গ্রহ।

নাসার এক্সোপ্ল্যানেট খুঁজে বের করার মিশন, কেপলার মিশনে এই গ্রহটিকে পাওয়া গিয়েছে। ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা নতুন অ্যালগরিদমের মাধ্যমে কেপলার নক্ষত্রের উজ্জ্বলতা এবং নতুন গ্রহটির বিশেষত্বগুলি পর্যবেক্ষণ করেছেন। এই মিশনে তাদের সাথে যুক্ত ছিলেন ক্যালিফোর্নিয়া সান্তাক্রুজ ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা।

ওই জার্নালটির লেখক ডক্টর রেনে হেলার জানিয়েছেন,” KOI-456.04 গ্রহটি কেপলার-১৬০-র চতুর্থ গ্রহ। তৃতীয় গ্রহটির নাম দেওয়া হয়েছে Kepler-160d। এই তৃতীয় গ্রহটির অস্তিত্বও একই মিশনে খুঁজে পাওয়া গেছে।” তিনি আরো জানিয়েছেন যে,” আমাদের মিশন থেকে উঠে এসেছে যে, কেপলার-১৬০-কে সর্ব মোট চারটি গ্রহ প্রদক্ষিণ করছে।”

ম্যাক্সপ্লাঙ্ক ইনস্টিটিউট ফর সোলার সিস্টেম রিসার্চের একটি লেখায় জানানো হয়েছে, যে দীর্ঘ চার বছর ধরে কেপলার মিশন, কেপলার-১৬০-র উপর গবেষণা করেছে। সূর্যের সঙ্গে সমতা থাকার কারণে এই নক্ষত্রের উপর গবেষণা চালানো অনেকটা সহজ হয়েছে। এই নক্ষত্রের ব্যাসার্ধ সূর্যের ব্যাসার্ধের ১.১ গুণ। এই নক্ষত্রের তাপমাত্রা ৫,২০০ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড, যা সূর্যের থেকে 300 ডিগ্রি কম। এছাড়াও এই গ্রহ সূর্যের মতো স্টেলার লুমিনোসিটি প্রদর্শন করতে পারে।

অন্যদিকে নতুন গ্রহটির আয়তন পৃথিবী থেকে প্রায় দ্বিগুণ। এবং এই গ্রহটি অনেকটা পৃথিবীর মতোই। তাই এখানে জীবনধারণ পৃথিবীর মতোই হতে পারে বলে ধারণা বিজ্ঞানীদের।। এছাড়াও তারা মনে করছেন যে, এই গ্রহতে জল থাকার সম্ভাবনাও রয়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত এই গ্রহটির ব্যাপারে সম্পূর্ণ গবেষণা করা হয়নি। পরবর্তী কিছুদিনের মধ্যে এই গ্রহের ব্যাপারে আরও বেশকিছু তথ্য আমরা জানতে পারব।

সঙ্গে থাকুন ➥