খ্যাতি বা টাকা অর্জন নয়, TikTok ভিডিও বানিয়ে সোজা মৃত্যুর মুখে পৌঁছেছিল এই কিশোরী! বিশদ জেনে নিন

Avatar

Published on:

সোশ্যাল মিডিয়া অর্থাৎ Facebook, Instagram-এর মত প্ল্যাটফর্মগুলি এখন অর্থ উপার্জনের অন্যতম মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাধারণ মানুষ এখান থেকে লাখো লাখো টাকা আয় করছেন। মিলছে খ্যাতি বা জনপ্রিয়তাও। কিন্তু প্রতিটি বিষয়ের মত এই সব কিছুরও কোথাও যেন একটা ক্ষতিকারক প্রভাব রয়েছে! অনেক সময়ই সোশ্যাল মিডিয়ার জনপ্রিয়তা ইউজারদের জন্য আপত্তিকর বা অস্বস্তিকর হয়ে ওঠে। অজান্তেই ধেয়ে আসে বিপদও। তবে এরকমই একটি ঘটনায় ভিক্টিম মৃত্যুর মুখে পৌঁছে গিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। ঘটনাটি ফ্লোরিডার এবং এটি কোনো হালফিলের ইস্যু নয়। ২০২১ সালের জুলাই মাসে এটি সংঘটিত হয়েছিল। তাও এর ভয়াবহতার জন্য সাম্প্রতিক সময়ে এটিকে খবরে আনা হয়েছে। আসুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

রিপোর্ট অনুযায়ী, আভা মাজুরি (Ava Majury) নামে এক ১৩ বছর বয়েসী কিশোরী টিকটকে (TikTok) ভিডিও বানিয়ে বেশ খ্যাতি অর্জন করে এবং তার তিনটি অ্যাকাউন্টে মোট ১.২ মিলিয়নেরও বেশি ফলোয়ার তৈরি হয়। এরপর ঘটনাক্রমে এরিক রোহান জাস্টিন নামে এক ব্যক্তি (যিনি EricJustin11 সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল ব্যবহার করতেন) আভার কন্টেন্টে নিয়মিত কমেন্ট করে তার কাছে আসতে শুরু করেন। শীঘ্রই জাস্টিন, তার সম্পর্কে ব্যক্তিগত তথ্য পাওয়ার প্রয়াসে তার স্কুলের বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ করেন।

এরপর জাস্টিন একবার মাজুরির মোবাইল নম্বর পেয়ে গেলে, তিনি তার ছবি চেয়ে কল এবং টেক্সট করতে শুরু করেন এবং অর্থ প্রদান করতে ইচ্ছুক হন। তিনি ছবির জন্য প্রায় ৩০০ ডলার খরচ করেন, আর শীঘ্রই তিনি অশ্লীল এবং অযাচিত ছবি চাইতে শুরু করেন যার পরে মাজুরি তাকে সব জায়গা থেকে ব্লক করে দেয়।

আভা মাজুরির বাবা-মা সমগ্র পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত ছিলেন। তাঁর বাবা রব প্রাক্তন পুলিশকর্মী। রিপোর্টে বলা হচ্ছে, জাস্টিন, গত ১০ই জুলাই বন্দুক নিয়ে মাজুরির দোরগোড়ায় হাজির হয় এবং দরজা খুলে গুলি করতে শুরু করে। এরপর আভা, তাঁর মা এবং ভাইয়েরা নিরাপদে ছুটে আসেন আর তাঁর বাবা বন্দুক নিয়ে স্টকারের মুখোমুখি হন। জাস্টিন পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে আভার বাবা তখন তাকে গুলি করে হত্যা করেন।

গোটা ঘটনাটি কতটা অপ্রীতিকর এবং ভয়াবহ তা আশা করি আর আলাদা করে বলে দিতে হবে না! সেক্ষেত্রে আভা মাজুরি এই বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে বলেছে যে তার পরিবার এই ‘অগ্নিপরীক্ষা’ থেকে অনেক কষ্ট পেয়েছে। পাশাপাশি এই ঘটনা থেকে বাকিরাও সচেতনতার শিক্ষা পাবে বলে কিশোরীর মত।

সঙ্গে থাকুন ➥