Video call Scam: ‘প্লিজ ভিডিও কল করো’! এই মেসেজ পেয়ে গলে গেলেই পড়বেন বিপদে

Avatar

Published on:

Video call Scam

দিনের পর দিন সোশ্যাল মিডিয়া, ইন্টারনেট এবং প্রযুক্তি যত আমাদের রোজকার জীবনের সাথে জড়িয়ে যাচ্ছে, ততই এগুলিকে কেন্দ্র করে সাধারণ মানুষকে বোকা বানানোর ফাঁদ পেতে রাখছে এক শ্রেণীর মানুষ। টেক্সট মেসেজের মাধ্যমে বা WhatsApp, Instagram (ইনস্টাগ্রাম), Messenger-এ ভুয়ো মেসেজ, কল করে সাধারণ মানুষকে কখনো কোনো পরিষেবা সংক্রান্ত বিষয়ে ভয় দেখানো হচ্ছে, তো কখনো তাদের কাছে আসছে নানাবিধ পুরষ্কার জেতার প্রলোভন। শুধু তাই নয়, সময়ের সাথে স্ক্যামের নতুন নতুন পন্থা বা কৌশলও বের করছে জালিয়াতরা, যেমন এখন ভিডিও কলের মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়া ইউজারদের শিকার করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে সূত্রের দাবি। হ্যাঁ, বাস্তবে সংস্পর্শে না থাকা মানুষজনের কলের মাধ্যমে লাইভ দেখা বা কথা হওয়ার বিকল্পই বর্তমানে জালিয়াতির অন্যতম হাতিয়ার হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ভিডিও কলের রিকোয়েস্ট পাঠিয়ে পাতা হচ্ছে ফাঁদ

রিপোর্ট অনুযায়ী, এখন ইনস্টাগ্রাম জাতীয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে মেয়েদের নামে ফলো বা ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠানো হচ্ছে। কোনো ইউজার সেই রিকোয়েস্ট অ্যাক্সসেপ্ট করলে তাদের কাছে আসছে মেসেজ রিকোয়েস্ট। আর সেই মেসেজে তাদের ভিডিও কল করতে বলা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে যদি সেই ইউজার অসাবধানতা বা কৌতূহলবশত ভিডিও কল করে ফেলেন, তাহলে কল করার সাথে সাথেই অপরদিকে থাকা কোনো মেয়ে তার জামাকাপড় খুলতে শুরু করে। আর এই বিব্রতকর পরিস্থিতির উদ্রেক হওয়ার পর তারা কল কেটে দেয়, যদিও তার আগে তারা কিছু স্ক্রিনশট নেয়। এরপরই শুরু হয় আসল খেলা!

স্ক্রিনশটে ইউজারদের মুখ থাকায় এই ধরণের ভুয়ো আইডির মালিকরা তাদের ব্ল্যাকমেইল করা শুরু করে। ওই আইডি থেকে একটানা ইউজারদের মেসেজ পাঠিয়ে টাকা দাবি করা হয়, বদলে দেওয়া হয় ২৪ ঘণ্টা সময়। এক্ষেত্রে টাকা না দিলে উক্ত স্ক্রিনশট সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করার হুমকিও দেওয়া হয়ে থাকে।মানহানির ভয়ে অনেকে প্রতারকদের এই ফাঁদে পা-ও দেয়।

ভিডিও কল স্ক্যাম থেকে কীভাবে বাঁচবেন?

সাইবার বিশেষজ্ঞ হিমাংশু কুমার দীপু এই বিষয়ে বলেছেন যে, সোশ্যাল মিডিয়ায় আপত্তিকর স্ক্রিনশট ভাইরাল করার হুমকি এবং এই প্রতারণার পন্থা যথেষ্ট গুরুতর বিষয়। তাই এমন পরিস্থিতিতে না পড়তে অপরিচিত নম্বর বা সোশ্যাল মিডিয়া আইডি থেকে আসা কল বা মেসেজ এড়িয়ে চলতে হবে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে জালিয়াতরা সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ক্রিনশট পোস্ট করে না, কারণ এতে তাদের সাইবার পুলিশের হাতে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে স্ক্যামাররা টাকা না পেলে কোনো পর্ন সাইটে ওই স্ক্রিনশট পোস্ট করতে পারে। অতএব সাবধান!

সঙ্গে থাকুন ➥