বিদ্যুতের খুঁটির মাধ্যমে বাড়িতে পৌঁছে যাবে 5G, ভারত সরকার এবার নিচ্ছে এক আশ্চর্য পরিকল্পনা

Avatar

Published on:

যত দিন যাচ্ছে ভারতীয় গ্রাহকদের মধ্যে 5G (৫জি)-র আগমন সংক্রান্ত জিজ্ঞাসা আরও প্রবল হচ্ছে। কবে সারা দেশে 5G পরিষেবা চালু হবে কিংবা ঠিক কবে থেকে পরবর্তী প্রজন্মের নেটওয়ার্ককে ব্যবহার করা যাবে, সেই প্রশ্ন এখন সকলের মুখে মুখে। পরীক্ষামূলকভাবে 5G ট্রায়ালে Jio, Airtel, Vi-এর মতো দেশের শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি টেলিকম কোম্পানিগুলির সাফল্য লাভের পর পঞ্চম প্রজন্মের রোলআউট যে এখন স্রেফ কিছু সময়ের অপেক্ষা, সেটা বলে দেওয়ার অপেক্ষা রাখে না। সেক্ষেত্রে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব 5G পরিষেবা রোলআউট করতে সরকার যে চেষ্টার কোনো খামতি রাখছে না, তা TRAI-এর নয়া পরিকল্পনায় আরও একবার প্রমাণিত হল।

আসলে টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অফ ইন্ডিয়া বা ট্রাই (TRAI) বৈদ্যুতিক খুঁটির মাধ্যমে ৫জি নেটওয়ার্ক সরবরাহ করার পরিকল্পনা করছে। পরবর্তী প্রজন্মের নেটওয়ার্ক ৫জি ইনস্টল করার জন্য বৈদ্যুতিক খুঁটি এবং বাস স্টপের মতো ‘স্ট্রিট ফার্নিচার’ (রাস্তার আসবাবপত্র) ব্যবহার করার সম্ভাবনা সম্পর্কে ট্রাই বুধবার জনসাধারণের মতামত চেয়েছে। এই বিষয়ে টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অফ ইন্ডিয়া জানিয়েছে যে, পাবলিক স্ট্রিট ফার্নিচারের ব্যবহার নতুন এবং বড়ো মোবাইল টাওয়ার এবং ফাইবারের প্রয়োজনীয়তা দূর করবে। ট্রাই পাবলিক রিভিউ দেওয়ার জন্য ২০ এপ্রিল এবং পাল্টা পরামর্শ দেওয়ার জন্য ৪ মে শেষ তারিখ দিনটি নির্ধারণ করেছে। 

এই পরিকল্পনায় কী লাভ হবে? 

মোবাইল টাওয়ার এবং ফাইবারের জায়গায় বৈদ্যুতিক খুঁটি ব্যবহার করলে ৫জি নেটওয়ার্ক ইনস্টল করতে কম খরচ হবে। সেইসাথে ৫জি পরিষেবা চালু করতে সময়ও কম লাগবে। এর ফলে ৫জি নেটওয়ার্ক খুব সহজেই দেশের গ্রামীণ ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে দেওয়া যাবে। ট্রাই-এর মতে, স্ট্রিট ফার্নিচারকে কাজে লাগিয়ে ৫জি পরিষেবা প্রদান করলে ৫জি-র ছোটো সেল স্থাপনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বাধা দূর হতে পারে। এছাড়াও, মিলিমিটার ওয়েভ ৫জি (mmWave 5G) ব্যান্ডও খুব সহজে সব জায়গায় পৌঁছানো যাবে। এক্ষেত্রে বলে রাখি, দ্রুততম ৫জি নেটওয়ার্ক প্রদানের লক্ষ্যে মিলিমিটার ওয়েভ ৫জি ব্যান্ড ব্যবহার করা যায় তবে তাদের কভারেজ কম হবে। 

এদিকে বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে ৫জি সরবরাহের প্রযুক্তি তৈরি হলে ৫জি-র স্পিড ত্বরান্বিত হবে। একইসঙ্গে বিদ্যুতের খুঁটি, স্ট্রিট লাইটের অভিন্ন পরিকাঠামো ব্যবহারের ফলে পুরসভার মতো অন্যান্য ক্ষেত্রের আয় বাড়বে বলেও মনে করা হচ্ছে। ট্রাই জানিয়েছে যে, যেহেতু জনগণের স্বার্থের কথা ভেবেই পরবর্তী প্রজন্মের নেটওয়ার্ক রোলআউট করাকে কেন্দ্র করে জোরকদমে কাজ চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে, তাই স্ট্রিট ফার্নিচার জাতীয় জিনিসগুলি এক্ষেত্রে ব্যবহার করা যায় কি না, তার জন্য জনগণের রায় নেওয়া এবং তাদের এই বিষয়ে যাবতীয় তথ্য প্রদান করা প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে পরবর্তী প্রজন্মের নেটওয়ার্ক আনয়নের কাজে ভারত সরকার যেভাবে উঠেপড়ে লেগেছে, তাতে আর খুব বেশিদিন ৫জি ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকবে না বলেই ধরে নেওয়া যেতে পারে।

সঙ্গে থাকুন ➥