Metaverse প্রোজেক্টে ১০,০০০ কর্মী নিয়োগ করছে Facebook, কী কাজ জেনে নিন

Avatar

Published on:

গত জুলাই মাসে Facebook সিইও মার্ক জুকারবার্গ মেটাভার্স (Metaverse) তৈরীর ক্ষেত্রে তাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা প্রকাশ্যে আনেন। এরপর সংস্থার উদ্যোগ দেখে মনে করা হচ্ছে যে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যেই মেটাভার্সের কল্পনা বাস্তবায়িত হতে চলেছে। অন্তত সংস্থার পক্ষ থেকেও তেমনটাই দাবী করা হচ্ছে। তাছাড়া মেটাভার্সের স্বপ্নকে সাকার করতে Facebook ইতিমধ্যেই ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের কথা ঘোষণা করেছে যা এক্ষেত্রে সংস্থার ইতিবাচক পদক্ষেপের প্রমাণ।

কি এই Metaverse?

Metaverse অভিধার অর্থে যথেষ্ট ব্যাপকতা রয়েছে। খুব সহজ করে বলতে গেলে, Metaverse হলো বাস্তব জগতের অনুকরণে গড়ে তোলা এক ভার্চুয়াল দুনিয়া। ইন্টারনেটের মাধ্যমে আমরা এই দুনিয়ায় বিচরণ করতে সক্ষম হবো। ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (VR) এবং অগমেন্টেড রিয়েলিটি (AR) প্রযুক্তির উপরে নির্ভর করে তৈরী Metaverse আমাদের পারস্পরিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনে দেবে। এর মাধ্যমে ভার্চুয়াল জগতে আমাদের অস্তিত্ব অনেক বেশি বাস্তব হয়ে উঠবে বলে মনে করা হচ্ছে। একধরনের ডিজিটাল স্পেস হিসেবে সামনে এলেও ভবিষ্যতে Metaverse আমাদের রোজকার জীবনের অঙ্গ হয়ে উঠতে পারে।

Metaverse -এর পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে ১০,০০০ কর্মী নিয়োগ করছে Facebook

মেটাভার্স নির্মাণের ব্যাপারে ফেসবুক কতটা ঐকান্তিক সেটা তাদের সাম্প্রতিক কার্যকলাপ থেকে স্পষ্ট। এর মধ্যেই সংস্থাটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্তর্গত দেশগুলি থেকে ১০,০০০ কর্মী নিয়োগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এরা সকলেই মেটাভার্স গড়ে তোলার কাজে সামিল হবেন। অর্থাৎ জার্মানি, ফ্রান্স, পোল্যান্ড, স্পেন, নেদারল্যান্ডের মতো দেশের নাগরিক হলে ফেসবুকের এই ভার্চুয়াল রিয়েলিটি প্রোজেক্টের অংশীদার হওয়া সম্ভব।

ফেসবুকের তরফ থেকে উদ্যোগ গ্রহণ করা হলেও কোনো একক সংস্থার পক্ষে যে মেটাভার্সের দুনিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে না, সেকথা পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সঙ্গে জড়িতেরা স্বীকার করছেন। এদের মধ্যে একজন হলেন ফেসবুকের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক (Global Affairs) বিভাগের সহ-সভাপতি নিক ক্লেগ (Nick Clegg)। তিনি সাফ জানিয়েছেন যে বিভিন্ন সংস্থা, ডেভেলপার, ক্রিয়েটর এবং নীতি-নিয়ামকদের যৌথ প্রচেষ্টা এবং সহযোগিতা ছাড়া মেটাভার্স গড়ে তোলার চিন্তা অসম্ভব।

ভবিষ্যতে মেটাভার্সের মতো ভার্চুয়াল দুনিয়া প্রস্তুত সম্ভব হলে তা সামাজিক এবং অর্থনৈতিক পরিসরে বহু নতুন সুযোগের জন্ম দেবে বলে ফেসবুকের ব্লগ পোস্টে দাবী করা হয়েছে। আমাদের মতে সংস্থার এই ধরনের দাবী পুরোপুরি অমূলক নয়। বর্তমানে ডিজিটাল দুনিয়ার প্রতি আমাদের নির্ভরতা যেভাবে বাড়ছে, তার দিকে লক্ষ্য রেখে অনায়াসে একথা বলা যায়। তাছাড়া বিশ্বব্যাপী অতিমারির ফলে এই নির্ভরতা আরো গভীর হয়েছে। আর সেজন্যই যে ফেসবুক সহ অন্যান্য সংস্থাগুলি মেটাভার্সের মতো বিকল্প ডিজিটাল স্পেস গড়ে তুলতে ভীষণভাবে আগ্রহী সেটা বলে বোঝানোর দরকার পড়ে না।

হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন

সঙ্গে থাকুন ➥