Apple AirTag: বয়ফ্রেন্ড গতিবিধি জেনে যাচ্ছে, রেগে অ্যাপলের বিরুদ্ধে মামলা করলেন তরুণী

Avatar

Published on:

Women file case sues Apple

কয়েকবছর আগে বাজারে এসেছে Apple AirTag। মূলত কোনো হারিয়ে যাওয়া বা চুরি যাওয়া জিনিসকে ট্র্যাক করার জন্য এই ছোট্ট ইলেকট্রনিক গ্যাজেটটিকে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু ইদানীংকালে এই কার্যকর পণ্যটির অধিকমাত্রায় অপব্যবহার করা হচ্ছে। খোয়া যাওয়া জিনিস খোঁজার পরিবর্তে অনেকেই এখন পরিচিত কারোর ওপর নজর রাখতে Apple-এর এই ট্র্যাকিং ডিভাইসটিকে ব্যবহার করছেন। এর আগে এই ধরনের ঘটনার কথা আমরা বহুবার শুনেছি, তবে হালফিলে AirTag-এর জ্বালায় অতিষ্ঠ হয়ে এক তরুণী খোদ Apple কোম্পানির বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু ঠিক কী কারণে এমন কাজ করলেন ওই মহিলা? আসুন বিশদে জেনে নিই।

AirTag-এর অপব্যবহার দেখে রীতিমতো ক্রুদ্ধ হয়ে খোদ Apple-এর বিরুদ্ধেই মামলা করে বসলেন এক তরুণী

ব্লুমবার্গ (Bloomberg)-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, অ্যাপলের তৈরি এয়ারট্যাগ ব্যবহার করে ওই তরুণীকে গোপনে অনুসরণ করছিল তার প্রাক্তন প্রেমিক। তরুণীর অভিযোগ, তার গাড়ির মধ্যে একটি এয়ারট্যাগ লাগানো ছিল, যার ফলে তিনি কখন কোথায় যাচ্ছেন, তা খুব সহজেই তার প্রাক্তন প্রেমিক জেনে ফেলতো। তিনি আরও বলেছেন যে, তার প্রেমিক তাকে বিরক্ত করতো। তাই এই হয়রানির হাত থেকে নিষ্কৃতি পেতেই তিনি সম্পর্কটি থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু তার অজান্তেই গাড়িতে এয়ারট্যাগ লাগিয়ে তার ওপর দীর্ঘদিন ধরে নজরদারি চালিয়েছে ওই প্রাক্তন প্রেমিক। তাই রীতিমতো তিতিবিরক্ত হয়ে গিয়ে অবশেষে খোদ অ্যাপলের বিরুদ্ধেই মামলা দায়ের করেছেন ওই মহিলা।

দীর্ঘদিন ধরেই নানাভাবে অপব্যবহার করা হচ্ছে Apple-এর AirTag

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, এর আগেও এয়ারট্যাগের অপব্যবহারের ভুরি ভুরি ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। মাসখানেক আগেই অন্য আর-এক মহিলা অভিযোগ জানিয়েছিলেন যে, তার গতিবিধির ওপর লক্ষ্য রাখার জন্য তার সন্তানের ব্যাগে একটি এয়ারট্যাগ লাগিয়ে দিয়েছিলেন ওই মহিলার প্রাক্তন স্বামী। তবে এখানেই শেষ নয়, এর পাশাপাশি গত বছর অ্যাপলের এয়ারট্যাগের সহায়তায় একাধিক বিলাসবহুল গাড়ি চুরির খবরও সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে যে, চোরেরা পাবলিক প্লেসে পার্ক করা কোনো গাড়িতে এয়ারট্যাগ লাগিয়ে প্রথমে কিছুদিন তার গতিবিধি ট্র্যাক করে। এরপর এক জায়গায় অনেকক্ষণ ধরে একটি গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকলেই সেটিকে তারা অতি অনায়াসে চুরি করে ফেলতে পারে। তাই এই সমস্যার হাত থেকে ব্যবহারকারীদেরকে রেহাই দিতে পাবলিক প্লেসের পরিবর্তে কোনো বন্ধ গ্যারেজে ইউজারদেরকে গাড়ি পার্ক করার নির্দেশ দিয়েছে মার্কিন পুলিশ।

ব্যবহারকারীদের সমস্যার সমাধান করতে গত ফেব্রুয়ারিতে বড়োসড়ো আপডেট রোলআউট করেছে Apple

তবে Apple-এর AirTag-এর বিরুদ্ধে এত অভিযোগ জমা পড়া সত্ত্বেও পুরোপুরিভাবে কিন্তু সমস্যার সমাধান কিছুতেই করা যাচ্ছে না। AirTag-এর অপব্যবহার রোধ করতে Apple এই বছরের শুরুতে একটি বড়ো আপডেট প্রকাশ করেছে। সংস্থার পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, কোনো ব্যক্তিকে খুঁজে বের করার জন্য বা তাকে অনুসরণ করার জন্য AirTag তৈরি করা হয়নি। কিন্তু তা সত্ত্বেও কারোর অজান্তেই তাকে ট্র্যাক করতে কিংবা পোষ্যর কলারে ইউজাররা এই ট্র্যাকার ব্যবহার করছেন। তাই ডিভাইসটির এই ধরনের অবাঞ্ছিত অপব্যবহার রোধ করতে সংস্থাটি এই গুরুত্বপূর্ণ আপডেটটি রোলআউট করেছে। এর সুবাদে ব্যবহারকারীদের আশেপাশে কোনো অপরিচিত AirTag বিদ্যমান থাকলেই তারা সে সম্পর্কে অ্যালার্ট পেয়ে যাবেন। এর ফলে আশেপাশের কেউ তাদের ওপর নজর রাখছে কি না, সেটা খুব সহজেই জেনে ফেলে তারা সতর্ক হয়ে যেতে পারবেন। এছাড়া আগামী দিনে যাতে আর কোনোভাবেই এই ইলেকট্রনিক গ্যাজেটটির অপব্যবহার না করা যায়, তার জন্য Apple যথাযথ পদক্ষেপ নেবে বলেই আশা করা যেতে পারে।

সঙ্গে থাকুন ➥