নিন্নমানের ফোনের জন্য ১০ হাজার টাকা জরিমানা সহ Xiaomi কে দিতে হল নতুন স্মার্টফোন

Avatar

Published on:

এবার জনপ্রিয় মোবাইল প্রস্তুতকারক সংস্থা Xiaomi কে জরিমানা করলো বান্দ্রার ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তর! নিম্নমানের ত্রুটিপূর্ণ হ্যান্ডসেট সরবরাহের অভিযোগে দীর্ঘদিন মামলা চলার পর তারা এই রায় ঘোষণা করেছে। এর ফলে দেশে শাওমির ভাবমূর্তি অনেকটাই ক্ষুণ্ণ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।সমস্যার সূচনা হয় কয়েক বছর আগে। আন্ধেরির বাসিন্দা হিরণ্য ফুলারি ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে অনলাইনেই একটি Redmi 2 Prime মোবাইল কেনেন। কিন্তু কেনার একমাসের মধ্যেই ফোনটিতে ব্যাটারি ফুলে যাওয়া ও অতিরিক্ত গরম হওয়ার মতো একাধিক সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। বিষণ্ণ মনে ফুলারি মোবাইলটিকে নিকটবর্তী সার্ভিস সেন্টারে নিয়ে যান। তারা ফোনটি সারাবার জন্য সময় চেয়ে নেয়।

যদিও Mi এর অনুমোদিত সার্ভিস সেন্টার ফুলারির কাছে দুই দিন সময় চেয়ে নিয়েছিল, তবু তিনি চারদিন পরেই তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তখন সার্ভিস সেন্টারের কর্মীরা তাকে ফোনটি সারাতে আরো সাত দিন লাগবে বলে ফিরিয়ে দেয়! এর পরেও ফুলারি আরো দুইবার সার্ভিস সেন্টারে যাতায়াত করেন। কোনভাবেই ফোনটি ঠিক করতে অসমর্থ সার্ভিস সেন্টারটির পক্ষ থেকে তাকে জানানো হয়, ‘সমস্যাটি গভীর! ফোনটিকে পুরোপুরি সারাতে আরো দুই থেকে আড়াই মাস প্রয়োজন হবে’!

আড়াই মাসের ব্যবধানে হিরণ্য বাবু কোনরকমে সার্ভিস সেন্টার থেকে ফোনটিকে উদ্ধার করেন। তাকে জানানো হয় ফোনটি সারিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাতেও সমস্যার সমাধান না হয়ে হ্যান্ডসেটটির সমস্যা বেড়েই চলে। তখন তিনি ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরে অভিযোগ জানান। সেখানে তিনি দাবী করেন Xiaomi তাকে একটি ত্রুটিপূর্ণ ফোন সরবরাহ করেছে। নইলে কেনার মাত্র একমাসের মধ্যেই তাতে সার্ভিস সেন্টারের বক্তব্য অনুযায়ী কোন ‘গভীর’ সমস্যা দেখা দিতো না! Xiaomi যাতে ত্রুটিপূর্ণ মোবাইলটি ফেরত নিয়ে তাকে অনুরূপ একটি ফোন সরবরাহ করে বা তাকে তার সম্পূর্ণ টাকা ফিরিয়ে দেয়, এই দাবীতে তিনি সরব হন।

আশ্চর্যের ব্যাপার হল এতকিছুর পরেও শাওমির কোন হেলদোল দেখা যায়নি! ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরে মামলা চলাকালীন তারা বারবার ইচ্ছাকৃতভাবে অনুপস্থিত থেকে ব্যাপারটিকে এড়িয়ে গিয়েছে। তাছাড়া ভুল স্বীকারের বদলে একাধিকবার তারা নিজেদের পক্ষেই নানান যুক্তি পেশ করে। দীর্ঘদিন মামলা চলার পরে ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তর শেষ পর্যন্ত শাওমির বিপক্ষেই রায় দেয়। ত্রুটিপূর্ণ মোবাইল সরবরাহের জন্য তারা শাওমিকে ১০,০০০ টাকা জরিমানা করে। একইসাথে ক্রেতাকে একই মডেলের একটি হ্যান্ডসেট প্রদানের নির্দেশ দেয়। এই নির্দেশে চীনা মোবাইল প্রস্তুতকারক সংস্থাটির ‘যথার্থ শিক্ষা’ হয়েছে বলেই ভুক্তভোগী হিরণ্য ফুলারি দাবী করেছেন।

সঙ্গে থাকুন ➥