Samsung, Apple কে চোখ রাঙানি, প্রিমিয়াম স্মার্টফোন মার্কেটের ১৪ শতাংশ Xiaomi-র দখলে

Avatar

Published on:

গত কয়েক বছর ধরেই চীনা সংস্থা শাওমি (Xiaomi) বিশ্বজুড়ে সর্বাধিক বিক্রিত স্মার্টফোন ব্র্যান্ডগুলির মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে। বিশেষত ভারতের বাজারে শাওমি’র গুণমুগ্ধ ভক্তের সংখ্যা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। আসলে তুলনামূলক কম দামে ভালো ফিচার এবং পরিষেবা প্রদানের ক্ষেত্রে শাওমি সত্যি নিজেদের অবিকল্প হিসেবে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছে। তাই বাজেট এবং মিড রেঞ্জের স্মার্টফোন কেনার সময় ক্রেতারা শাওমিকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। তবে সাম্প্রতিক কিছু সমীক্ষায় এমন তথ্য উঠে এসেছে যেখানে প্রিমিয়াম বিভাগের ফোন বিক্রির দিক দিয়েও শাওমি’র অগ্রগতির প্রমাণ স্পষ্ট। অর্থাৎ শুধু সস্তায় পুষ্টিকর বলে নয়, তার পাশাপাশি উচ্চ গুণমানের খোঁজেও মানুষ শাওমি’র উপরেই ভরসা রাখছেন।

Xiaomi-র প্রিমিয়াম স্মার্টফোনের চাহিদা বাড়ছে

সমীক্ষাকারী সংস্থা কাউন্টার-পয়েন্টের (Counter Point) পেশ করা তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালের অক্টোবর নাগাদ বিশ্বব্যাপী স্মার্টফোন বাজারে প্রিমিয়াম রেঞ্জের ফোন বিক্রির নিরিখে শাওমি’র ভূমিকা ছিল নগণ্য। সেসময় বিশ্বে মোট বিক্রি হওয়া প্রিমিয়াম স্মার্টফোনের ৩ শতাংশ বাজার শাওমি’র দখলে ছিল। চলতি বছরেও কাউন্টারপয়েন্ট একই ধরনের সমীক্ষা চালিয়ে চমকে দেওয়ার মতো ফলাফল আবিষ্কার করেছে। দেখা গেছে প্রিমিয়াম রেঞ্জের স্মার্টফোন বিক্রির দিক দিয়ে এই মুহূর্তে বিশ্বের ১৪ শতাংশ বাজার শাওমি’র (Xiaomi) আয়ত্তাধীন। সাম্প্রতিক এই তথ্য প্রযুক্তিপ্রেমীদের রীতিমতো তাক লাগিয়ে দিয়েছে। ঠিক কোন উপায়ে শাওমির এই বিপুল সাফল্য তা খোঁজার জন্য বিশেষজ্ঞেরা নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা শুরু করেছেন!

বিগত কয়েক মাসের হিসেব বলছে প্রিমিয়াম স্মার্টফোন বিক্রিতে শাওমি’র এই সাফল্য কোনো অঘটন নয়। বরং নিজেদের আগ্রাসী বাণিজ্যিক নীতির কারণেই বিশ্ববাজারের একটা বড় অংশ আজ শাওমি’র মুখাপেক্ষী হয়ে পড়েছে। বিশেষত ২০,০০০-৪৫,০০০ টাকার মূল্যের বিনিময়ে ক্রয়যোগ্য ফোনের বিক্রিতে চীনা সংস্থাটি অভূতপূর্ব অগ্রগতি দেখিয়েছে। ২০২১ সালের শুরু অর্থাৎ সেই জানুয়ারি মাস থেকেই তারা উক্ত ক্রয়মূল্যের আওতায় একাধিক স্মার্টফোন লঞ্চ করেছে। Mi 10i, Mi 11X সিরিজ এবং সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসা Mi 11 Lite ইত্যাদি ডিভাইসগুলিকে আমরা এই গোত্রের অন্তর্ভুক্ত করতে পারি। বিক্রির নিরিখে এই ফোনগুলি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।

শাওমি’র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে প্রকাশ্যে আসার মাত্র তিন সপ্তাহের মধ্যে সেল মারফত মোট Mi 10i ডিভাইস বিক্রির অঙ্ক প্রায় ৪০০ কোটি টাকা! অন্যদিকে ২৯,৯৯৯-৪১,৯৯৯ টাকার মধ্যে উপলব্ধ Mi 11X ডিভাইস বিক্রি করে ৩০০ কোটি টাকা উঠে এসেছে এবং সেটাও লঞ্চের মাত্র ৪৫ দিনের মধ্যেই! এই ধরনের ফলাফল প্রকাশ্যে আসায় শাওমি কর্তৃপক্ষ যে অত্যন্ত উৎসাহিত সেটা বলে দেওয়ার অপেক্ষা রাখে না। আগামীদিনেও প্রিমিয়াম রেঞ্জের নতুন নতুন স্মার্টফোন বিক্রির ক্ষেত্রে তারা এই ফলাফল ধরে রাখতে পারবেন বলে সংস্থাটির পক্ষ থেকে দাবী করা হয়েছে।

https://twitter.com/manukumarjain/status/1412359961355558925

উল্লেখ্য, প্রিমিয়াম ফিচার এবং বাজেটের Xiaomi Mi 11 Ultra ডিভাইসটি অল্প কিছু দিন হল ভারতে এসেছে। ৭ই জুলাই, অর্থাৎ আজ প্রথমবারের জন্য ফোনটি সেলে উপলব্ধ হবে। এই স্মার্টফোনটিকে নিয়েও শাওমি কর্তৃপক্ষ যথেষ্ট আশাবাদী। আসলে উত্তরোত্তর ব্যবসা বৃদ্ধির কারণে শাওমি কর্মকর্তারা কোনো রকম আশঙ্কাবিহীন। তাই প্রিমিয়াম রেঞ্জের নয়া স্মার্টফোন সম্পর্কে বলতে গিয়ে তাদের গলায় আত্মবিশ্বাস ঝরে পড়ছে। শাওমি ইন্ডিয়া-র সিইও মনু কমার জৈনের কথায়, “ক্রেতাদের আস্থা ও ভরসার কারণেই আমরা প্রিমিয়াম রেঞ্জের অন্যান্য মোবাইল প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলির সাথে প্রতিযোগিতা চালিয়ে যাচ্ছি। বিশ্ববাজারে ভালো ফলাফলের ধারাবাহিকতায় আগামীদিনে আমরা আরো উন্নত ডিজাইন ও বিশেষত্ব সম্পন্ন স্মার্টফোন বাজারে আনবো। এভাবে প্রিমিয়াম বাজেটের স্মার্টফোন উৎপাদন ও বিক্রির ক্ষেত্রে আমরা নতুন নতুন নজির স্পর্শ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে আগ্রহী।”

হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন

সঙ্গে থাকুন ➥