এক মাসে ৩০ লাখের বেশি গ্রাহক পেয়েছে Jio, এদিকে Vodafone-এর অবস্থা বেহাল: নতুন রিপোর্ট

Avatar

Published on:

Vodafone idea Jio Users Record

মোবাইল ব্যবহার করা মানেই নেটওয়ার্কের জন্য কোনো না কোনো কোম্পানির কানেকশন বা সিম আপনাকে ব্যবহার করতেই হবে। নাহলে যেমন দাম দিয়েই ফোন কিনুন না কেন, তা কার্যত অচল হয়েই থাকবে। সেক্ষেত্রে কয়েক বছর আগে BSNL এবং তারও পরে Hutch, Airtel, Idea কোম্পানির কানেকশন মোবাইল নেটওয়ার্কের জন্য ব্যবহৃত হলেও, বর্তমানে ভারতে তিনটি বড় টেলিকম কোম্পানি রয়েছে – Reliance Jio, Vodafone Idea বা Vi এবং Bharti Airtel। এর মধ্যে গ্রাহক সংখ্যার নিরিখে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে Jio এবং Airtel। এই দুই সংস্থার ইউজার সংখ্যা বেড়েই চলেছে, কিন্তু Vi-এর গ্রাহক ক্রমাগত কমছে। আসলে বিগত বছরগুলিতে পরিষেবা সরবরাহের নিরিখে অনেকটাই পিছিয়ে গেছে Vodafone; অধিকাংশই এই সংস্থার বিরুদ্ধে নানাবিধ অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তাছাড়া এখনও পর্যন্ত তারা 5G পরিষেবা চালু করেনি, যার ফলে বাজারের লড়াইয়ে বেশ কোণঠাসা অবস্থা Vi-এর। এই বিষয়ে TRAI সম্প্রতি একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে, যাতে মে মাসের ভিত্তিতে ভারতীয় টেলিকম বাজারের অবস্থা সম্পর্কে সুস্পষ্ট তথ্য দেওয়া হয়েছে।

Jio নেটওয়ার্ক ব্যবহারকারীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি

২০১৬ সালে ইন্ডিয়ান টেলিকম মার্কেটে পা রাখার পর থেকেই জনসাধারণের আকর্ষণ নিজের দিকে ঘুরিয়ে রেখেছে জিও। অন্যান্য টেলিকম সংস্থার তুলনায় তারা বিভিন্নভাবে এগিয়ে রয়েছে। সেক্ষেত্রে সাম্প্রতিক রিপোর্ট বলছে যে, রিলায়েন্স জিও, মে মাসে সর্বাধিক সংখ্যক গ্রাহক যুক্ত করেছে। এই সময় ৩০,৩৮,০৩৬ সংখ্যক মানুষ জিওর হাত ধরেছেন, যার ফলে কোম্পানির ইউজারবেস বেড়ে হয়েছে ৪৩ কোটির বেশি।

এই সময় এয়ারটেলও ১৩,২৮,৫৮১ জন গ্রাহক যুক্ত করেছে এবং এতে করে কোম্পানির ইউজার সংখ্যা বেড়ে ৩৭ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। কিন্তু অন্য দুই প্রাইভেট টেলকো লাভের মুখ দেখলেও মে মাসে বিপুল সংখ্যক গ্রাহক হারিয়েছে ভোডাফোন আইডিয়া। ট্রাই-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ২৮,১৫,২২৬ সংখ্যক গ্রাহক এই কোম্পানি কানেকশন বন্ধ করেছেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই মুহূর্তে দেশের বেশিরভাগ অংশই ৫জি নেটওয়ার্ক দ্বারা কভার করেছে জিও ও এয়ারটেল। এক্ষেত্রে ভোডাফোন এই বছরের শেষ নাগাদ মেট্রো শহরগুলিতে ৫জি পরিষেবা চালু করতে পারে বলে জল্পনা রয়েছে।

ব্রডব্যান্ড কাস্টমারের সংখ্যাও বেড়েছে

ট্রাই-এর রিপোর্ট থেকে জানা যায় যে, এপ্রিলের তুলনায় মে মাসে দেশে ব্রডব্যান্ড গ্রাহকের সংখ্যা ০.৬৯% বৃদ্ধি পেয়েছে। এপ্রিল মাসে যেখানে গ্রাহক সংখ্যা ছিল ৮৫০.৯৪ মিলিয়ন ছিল, মাস ঘুরতেই তা ৮৫৬.৮১ মিলিয়নে পৌঁছেছে। এক্ষেত্রে তারযুক্ত বা ওয়্যারড গ্রাহকের সংখ্যা ১.৬৯% এবং টেলিফোন গ্রাহক ০.৬৫% বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে ওয়্যারলাইন সেগমেন্টে, ২০২৩ সালের এপ্রিলের তুলনায় মে মাসে গ্রাহকের সংখ্যা ০.০৭% কমেছে – এপ্রিলে পরিসংখ্যান ছিল ২৯.৩৯ মিলিয়ন, যা এখন দাঁড়িয়েছে ২৯.৩৬ মিলিয়নে। দেখা গিয়েছে, মোট ওয়্যারলাইন গ্রাহক সংখ্যার মধ্যে শহর এবং গ্রামাঞ্চলের ইউজারদের অংশ যথাক্রমে ৯২.৫৫% এবং ৭.৪৫%।

সঙ্গে থাকুন ➥