নতুন Pulsar N160 নাকি পুরনো Pulsar NS160, কোন বাইক নিলে বেশি লাভ, বিস্তারিত জেনে নিন

Updated on:

প্রায় দুই দশক আগে ভারতে জন্ম নেওয়া Bajaj Pulsar যে নিজ গুণে আলাদা এক “ব্র্যান্ড” হয়ে উঠবে তা সেদিন কেউ ভাবতে পারেনি। সেদিনের ১৫০ সিসির ছোট পালসার দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে আজ ২৫০ সিসির যুবকে পরিণত হয়েছে। কখনও ১৩৫ সিসি তো কখনো ১৮০ সিসি, আবার এক সময় ২২০ সিসি কলেবরে হাজির হয়েছে সে। তবে কালের নিয়মে হারিয়ে গেছে অনেক পালসার মডেল। আবার গত মাসে লঞ্চ হয়েছে Pulsar N160। যার ডিজাইনের সঙ্গে Pulsar N250-এর মিল খুঁজে পাওয়া যায়। নতুন মডেল ধরে এখন বাজাজের ঝুলিতে ১৬০ সিসির বাইকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে দুই –  NS160 ও N160। কিন্তু আজকের দিনে কোন মডেল নিলে বেশি লাভবান হবেন গ্রাহকরা, তার তুল্যমূল্য আলোচনা রইল এখানে।

Pulsar N160 বনাম Pulsar NS 160 ইঞ্জিন ও গিয়ার

নতুন পালসার এন১৬০ মডেলে চালিকাশক্তি যোগাতে রয়েছে ১৬৪.৮২ সিসির, সিঙ্গেল সিলিন্ডার, অয়েল কুল্ড যুক্ত ইঞ্জিন। উল্টোদিকে ১৬০.৩ সিসির, সিঙ্গেল সিলিন্ডার, অয়েল কুল্ড দ্বারা পরিচালিত এনএস১৬০। তবে এর পাওয়ার খানিকটা বেশি। এনএস ভার্সনের অশ্বশক্তি ১৭.২ হলেও, নতুন এন এর ক্ষেত্রে তা ১৬ এইচপি। তবে দুই বাইকের টর্ক সমান (১৪.৬৫ এনএম)।

আবার নতুন পালসার এন১৬০ সর্বোচ্চ পাওয়ার ও টর্ক যথাক্রমে ৮,৭৫০ আরপিএম ও ৬,৭৫০ আরপিএম গতিতে উৎপাদন করে। সেখানে পুরনো পালসার এনএস১৬০ মডেলে পিক পাওয়ার ৯,০০০ আরপিএমে ও ম্যাক্সিমাম টর্ক ৭,২৫০ আরপিএমে পাওয়া যায়। দুটি বাইকেই পাঁচ গতির গিয়ারবক্স বর্তমান।

Pulsar N160 বনাম Pulsar NS 160 ফিচার্স

পালসার এন১৬০ সিঙ্গেল ডাউনটিউব ফ্রেমের উপর নির্মিত। অন্য দিকে, পেরিমিটার ফ্রেমের উপর ভিত্তি করে তৈরি পালসার এনএস১৬০। নতুন মডেলে মোটা টায়ার ব্যবহার করার জন্য যথেষ্ট ভারী এটি। বাইকটির সিঙ্গেল চ্যানেল ও ডুয়েল চ্যানেল এবিএস ভ্যারিয়েন্টের ওজন যথাক্রমে ১৫২ কেজি ও ১৫৪ কেজি। অন্য  দিকে, পুরনো পালসার এনএস১৬০ শুধুমাত্র সিঙ্গেল চ্যানেল এবিএস অপশনে উপলব্ধ এবং ওজন ১৫১ কেজি।

প্রসঙ্গত, এই সেগমেন্টে একমাত্র পালসার এন১৬০ ডুয়েল চ্যানেল এবিএস-সহ এসেছে। এন ও এনএস মডেল দু’টির পিছনের চাকার ডিস্ক ব্রেকের মাপ এক (২৩০ মিমি)। তবে নয়া এন এর সামনে ২৮০ মিমি ডিস্ক রয়েছে। সেখানে এনএস এর সামনে ২৬০ মিমি ডিস্ক ব্রেক বর্তমান।

উপরন্তু, পালসার এন১৬০ লেটেস্ট মডেল হওয়ার কারণে এতে এলইডি প্রজেক্টর হেডলাইট, ইউএসবি চার্জিং পোর্ট, সেমি ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার, গিয়ার পজিশন ইন্ডিকেটর-সহ নানা আধুনিক ফিচার উপলব্ধ। এ ক্ষেত্রে পালসার এনএস ১৬০ যথেষ্ট পিছিয়ে রয়েছে

Pulsar N160 বনাম Pulsar NS 160 দাম

পালসার এর এই দুই মডেলের সিঙ্গেল চ্যানেল এবিএস ভ্যারিয়েন্টের দামের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। উভয়েরই এক্স শোরুম মূল্য ১,২২,৮৫৪ টাকা। তবে এন১৬০ এর ডুয়েল চ্যানেল এবিএস ভার্সনের দাম ৫,০০০ টাকা বেশি (১,২৭,৮৫৩ টাকা)। এদার সামগ্রিক দিক থেকে ইঞ্জিনের সক্ষমতা ও পারফরম্যান্স নিয়ে বিচার করতে গেলে NS খানিকটা হালকা হওয়ায় অনেক বেশি সুবিধা পাওয়া যাবে। তবে আধুনিক বৈশিষ্ট্যের প্রয়োজনীয়তা থাকলে N মডেল কেনাই শ্রেয়। আবার সুরক্ষার কথা মাথায় রাখলে Pulsar N160 এর ডুয়েল চ্যানেল এবিএস অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য।

সঙ্গে থাকুন ➥