সাবধান! নতুন চাল চলছে হ্যাকাররা, জনগণকে সতর্ক করলো সিইআরটি-ইন্ডিয়া

Avatar

Published on:

ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের ডেটা এবং প্রাইভেসির উপর পুনরায় একটি বড় সংকট এসে হাজির হয়েছে। সম্প্রতি ইন্ডিয়ান কম্পিউটার এমার্জেন্সি রেসপন্স টিম বা সিইআরটি-ইন্ডিয়া (CERT-In) জনগণকে সতর্কবার্তা দিয়ে একটি ইমেইল এক্সটরশন জালিয়াতির ব্যাপারে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে। সিইআরটি নিজের অ্যাডভাইজারিতে জানিয়েছে যে, হ্যাকাররা ব্যবহারকারীদের বেশ কয়েকটি ইমেইল পাঠিয়েছে যাতে কম্পিউটার এবং পাসওয়ার্ড হ্যাক করার কিছু কথা বলা হয়েছে। ইমেইল গুলিতে হ্যাকাররা দাবি করে যে, তারা কম্পিউটার ওয়েব ক্যামেরার মাধ্যমে ভিডিও রেকর্ড করে এবং তাদের কাছে ব্যবহারকারীর পাসওয়ার্ডও রয়েছে।

• পাসওয়ার্ড হ্যাক হয়ে যাবার প্রমাণও দেয় তারা –

এই অনলাইন এক্সটোরশন জালিয়াতিতে হ্যাকার নিজের শিকারকে কম্পিউটারের পাসওয়ার্ড হ্যাক হওয়ার কিছু প্রমাণও দিয়ে থাকে। ব্যবহারকারীদের নিজের জালিয়াতির শিকার করার পরে এই সাইবার ক্রিমিনালরা বিটকয়েন এবং অন্যান্য কিছু পেমেন্ট মোডের মাধ্যমে টাকা পয়সা দাবি করে, যাতে তারা কোনভাবেই ধরা না পড়ে যায়। পেমেন্ট না করা হলে হ্যাকাররা ব্যক্তিগত ছবি এবং কিছু সংবেদনশীল ডেটা লিক করে দেওয়ার হুমকি দেয়।

• পুরনো পাসওয়ার্ডের লিস্ট তারা দেয় –

হ্যাকাররা আপনার পূর্ব ব্যবহৃত পাসওয়ার্ডের লিস্ট আপনাকে দেখিয়ে আপনার বিশ্বাস অর্জন করার চেষ্টা করে। আসলে তারা আপনাকে বোঝাতে চায় যে, তাদের কাছে আপনার এখন ব্যবহার করা পাসওয়ার্ডটিও রয়েছে। তবে পুরনো পাসওয়ার্ড আদায় করার জন্য তাদের কোনো রকম হ্যাকিং করতে হয় না, বরং অনলাইনে শেয়ার হয়ে যাওয়া ডেটা থেকেও পাসওয়ার্ড জানা যেতে পারে। এছাড়াও সিইআরটি জানিয়েছে যে, এই ধরনের ভুয়ো স্ক্যাম নিয়ে চিন্তা করার কোনো কারণ নেই।

• কিভাবে এই জালিয়াতি কাজ করে –

প্রথমে জালিয়াত ব্যবহারকারীর দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য তাকে একটি ভুয়া ইমেইল পাঠায়, যাতে ওই ব্যবহারকারীর পুরনো পাসওয়ার্ডের একটি তালিকা থাকে। এরপরে ওই সাইবার ক্রিমিনাল নিজেকে বড় সাইবার হ্যাকার প্রমাণ করার জন্য কম্পিউটার এবং প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজে ব্যবহৃত বিভিন্ন কঠিন শব্দ ব্যবহার করে।

এছাড়াও তারা এমন কিছু ওয়েবসাইটের ব্যাপারে আপনাকে জানায় যেগুলি ওই ব্যবহারকারী আগে কোন সময়ে ভিজিট করেছে। হ্যাকার এই ওয়েবসাইটগুলো পাসওয়ার্ড ডিটেইল এবং স্ক্রিন রেকর্ড করার হুমকি দেয়। শুধু তাই নয়, ওই হ্যাকার ব্যবহারকারীর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট এবং ইমেইল অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে দেওয়ার হুমকিও দেয়।

হ্যাকারের এই পদক্ষেপগুলিতে বেশিরভাগ ব্যবহারকারী ঘাবড়ে যান, এবং তখনই হ্যাকার ব্যবহারকারীকে নিজের জালিয়াতির ফাঁদে ফেলে। তারপর ওই জালিয়াত ব্যবহারকারীর কাছ থেকে বিটকয়েন জাতীয় কিছু ক্রিপ্টোকারেন্সি ওয়ালেটের মাধ্যমে টাকা পয়সা ট্রান্সফার করার নির্দেশ দেয়। এই ধরনের ওয়ালেটে ধরা পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। এমনকি ২৪ ঘন্টার মধ্যে টাকা ট্রান্সফার করা না হলে ওই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য লিক করে দেওয়ার হুমকিও দেয় হ্যাকার।

সঙ্গে থাকুন ➥