আমজনতার ক্ষোভ, বিরোধী দলের লাগাতার চাপ, পেট্রোপণ্যের দাম কমাতে বাধ্য হল ইমরান সরকার

Published on:

দেশের জনগণ এবং বিরোধী দলের প্রবল বিক্ষোভের মুখে অবশেষে পেট্রোপণ্যের মূল্য বৃদ্ধির ঘোষণা থেকে সরে দাঁড়াল পাকিস্তান সরকার। লিটার পিছু পেট্রলের দাম ১০ পাকিস্তানি রুপি (প্রায় ৪ টাকা) কমানোর ঘোষণা করল ইমরান প্রশাসন। উল্লেখ্য, গেল মাসে এক লাফে লিটার প্রতি পেট্রল ও ডিজেলের মূল্য যথাক্রমে ১২ পাকিস্তানি রুপি (প্রায় ৫ টাকা) ও ৯.৫৩ পাকিস্তানি রুপি (প্রায় ৪ টাকা) বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। যা পাকিস্তানের ইতিহাসে এখনো পর্যন্ত সর্বাধিক। কার্যত এতে পাকিস্তানি গাড়ির মালিকদের নাভিশ্বাস উঠে যাওয়ার দশা হয়েছিল। কিন্তু বিরোধী রাজনৈতিক দলের চাপে শেষ পর্যন্ত পিছু হটতে বাধ্য হল ইমরান খান সরকার।

টেলিভিশন সংবাদ মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের মূল্যবৃদ্ধি সত্ত্বেও দেশের জনগণের কথা বিবেচনা করে পেট্রোপণ্যের মূল্য কমানো হল। পাশাপাশি সে দেশের ইউনিট প্রতি বিদ্যুতের মূল্যে ৫ পাকিস্তানি রুপি হ্রাস ঘটানো হয়েছে। সরকারের তরফ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে, দেশের পরবর্তী বাজেট পর্যন্ত বিদ্যুৎ এবং পেট্রলের মূল্য অপরিবর্তিত রাখা হবে।

সরকারের এই ঘোষণা সাদরে গ্রহণ করেছে পাক আমজনতা। এদিকে পেট্রোপণ্যের দাম বাড়ানোর পূর্ববর্তী ঘোষণায় দেশে মূল্য বৃদ্ধির করাল প্রভাব পড়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছিলেন একদল বিশেষজ্ঞ। তবে আন্তর্জাতিক বাজারে যেভাবে অপরিশোধিত তেলের ব্যারেল পিছু দাম বেড়ে চলেছে, সেই পরিস্থিতি সামাল দিতে ইমরান সরকারকে যে যথেষ্টই বেগ পেতে হবে, তার আভাসও দিয়েছেন অর্থনীতিবিদেরা।

প্রসঙ্গত, ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার হামলার পর থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে ক্রুড অয়েলের দর ক্রমশই চড়ছে। ২০১৪ সালের পর এখনো পর্যন্ত সর্বাধিক মূল্যে পৌঁছেছে ব্যারেল পিছু তেলের দাম, যা ১০০ ডলার পেরিয়ে গিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা যদি রাশিয়া ইউক্রেনের উপর আক্রমণ জারি রাখে, তবে এর দাম ব্যারেল পিছু ১২৫ ডলার পার হতে বেশি সময় নেবে না। অন্যদিকে যেসব দেশ পেট্রোপণ্যের আমদানির ওপর নির্ভরশীল তাদের অর্থনীতিতে প্রবল চাপ পড়বে তা বলাই বাহুল্য। যেই তালিকায় রয়েছে ভারতও।

সঙ্গে থাকুন ➥