Samsung এর বিশেষ পোগ্রাম, জিতলেই ১ কোটি টাকা, পরের বছরে আপনিও হতে পারেন বিজয়ী

Published on:

Samsung Solve for Tomorrow Final Winner get rs 1 crore

অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় চমকপ্রদ ডিভাইস নির্মাণের ধারণা উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে তরুণ প্রজন্মকে উৎসাহিত করতে দক্ষিণ কোরিয়ান টেক জায়েন্ট Samsung মাসখানেক আগে ভারতে Solve for Tomorrow ইনোভেশন কনটেস্ট চালু করেছিল, এবং সম্প্রতি সংস্থার তরফে এই প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। জানা গিয়েছে যে, Solve for Tomorrow ইনোভেশন কনটেস্টের তিন বিজেতাকে মোট ১ কোটি টাকা অনুদান দেওয়া হবে। এই প্রতিযোগিতায় উন্নত প্রযুক্তির সহায়তায় কিছু অত্যাধুনিক গ্যাজেট বানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল যুবসমাজকে, এবং তার নিরিখে Sputnik Brain, Udaan এবং Alpha Monitor – এই তিনটি মডেল নির্মাণকারী টিমকে বিজয়ী হিসেবে গণ্য করেছেন বিচারকরা।

স্যামসাং জানিয়েছে যে, এই প্রতিযোগিতার তিন বিজয়ীকে অনুদানের পাশাপাশি ৬ মাসের ইনকিউবেশনও দেওয়া হচ্ছে। এর সুবাদে আইআইটি দিল্লির ফাউন্ডেশন ফর ইনোভেশন অ্যান্ড টেকনোলজি ট্রান্সফার বা এফআইটিটি (FITT) তাদের প্রোটোটাইপ প্রস্তুত করতে সহায়তা করবে। এখানেই শেষ নয়, সংস্থার তরফে জানা গিয়েছে যে, নগদ পুরষ্কার এবং ইনকিউবেশন সাপোর্ট ছাড়াও সমস্ত বিজয়ী দলকে শংসাপত্র, একটি ট্রফি, একটি স্যামসাং গ্যালাক্সি বুক২ প্রো ৩৬০ (Samsung Galaxy Book2 Pro 360) ল্যাপটপ এবং স্যামসাং গ্যালাক্সি বাডস২ (Samsung Galaxy Buds2) দেওয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি প্রতিটি বিজয়ী দলকে তাদের স্কুল বা কলেজের জন্য একটি ৮৫ ইঞ্চি স্যামসাং ফ্লিপ (Samsung Flip) ইন্টার‌্যাক্টিভ ডিজিটাল বোর্ডও প্রদান করা হচ্ছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে।

এই প্রোগ্রামটি ছিল তরুণদের জন্য

উল্লেখ্য যে, স্যামসাংয়ের এই প্রতিযোগিতাটি দেশের তরুণদের জন্য লঞ্চ করা হয়েছিল। এই কনটেস্টের পিছনে টেক জায়েন্টটির মূল উদ্দেশ্য ছিল, দেশের যুবকদের মনে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাথে সম্পর্কিত নতুন উদ্ভাবনের সঞ্চার করা। অর্থাৎ, তরুণরা যাতে নতুন টেকনোলজিকে কাজে লাগিয়ে মানুষের বাস্তব জীবনের সমস্যাগুলিকে সমাধান করে তাদের জীবনকে আরও সহজ করে তুলতে পারে, মূলত সেই লক্ষ্য নিয়েই এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল।

গত জুন মাসে এই কর্মসূচি শুরু করা হয়

আপনাদেরকে জানিয়ে রাখি, এই প্রতিযোগিতাটি গত জুন মাসে শুরু হয়েছিল। ১৬-২২ বছর বয়সী তরুণদের নিয়ে গঠিত মোট ১৮,০০০ টি টিম এই কনটেস্টে অংশগ্রহণ করেছিল। মূলত এই প্রতিযোগিতায় শিক্ষা, পরিবেশ, স্বাস্থ্যসেবা, এবং কৃষি বিষয়ক নতুন উদ্ভাবনী ধারণা প্রদান করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল যুবসমাজকে। সুবিশাল ১৮,০০০ টি এন্ট্রির মধ্যে থেকে মাত্র ৫০ টি টিমকে বেছে নিয়েছিলেন এফআইটিটি, আইআইটি দিল্লি এবং স্যামসাংয়ের বিশেষজ্ঞরা। অংশগ্রহণকারীরা এই কনটেস্টে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় নির্মিত নিজেদের চমকপ্রদ টেক ডিজাইনকে উপস্থাপন করার জন্য তিন দিন ধরে আইআইটি দিল্লি বুট ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। এরপর তারা বিচারকদের কাছে নিজেদের চিন্তাভাবনার কথা তুলে ধরেন, এবং সবদিক বিচার-বিবেচনা করে ৫০-এর মধ্যে থেকে মাত্র ১০ টি টিমকে বেছে নেন বিচারকরা।

এরপর এই ১০ টি টিমকে আবার ছয় সপ্তাহের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়, এবং সেইসাথে তাদেরকে নিজস্ব প্রোটোটাইপ তৈরি করতেও সহায়তা করেন বিচারকরা। শুধু তাই নয়, নিজেদের প্রযুক্তি সম্পর্কিত চিন্তাভাবনাকে আরও উন্নত করতে অংশগ্রহণকারীরা স্যামসাংয়ের সদর দপ্তর, গবেষণা ও উন্নয়ন (R&D), এবং ডিজাইন সেন্টারও পরিদর্শন করেন। সবশেষে চূড়ান্ত পর্বের পর তিনজন বিজয়ীকে নির্বাচিত করা হয়।

কনটেস্টের তিন বিজয়ী এবং তাদের চমকপ্রদ আইডিয়া

Sputnik Brain: বেঙ্গালুরুর ২২ বছর বয়সী শঙ্কর শ্রীনিবাসন (Shankar Srinivasan) একটি ওয়্যারবেল ডিভাইসের ধারণা প্রদান করেছেন, যা সেফ ব্রেন মডুলেশনের মাধ্যমে স্ট্রেস কমাতে সহায়তা করে। 

Udaan: এই টেক প্রোজেক্টে পোর্ট ব্লেয়ার এবং দিল্লির তিনটি মেয়ে প্রিশা দুবে (Prisha Dubey), অনুপ্রিয়া নায়েক (Anupriya Nayak) এবং ভানালিকা কোনয়ার (Vanalika Konwar), কাটা আখের ছিবড়ে থেকে পরিবেশবান্ধব, সাশ্রয়ী মূল্যের এবং ওয়াশেবেল স্যানিটারি প্যাড প্রস্তুত করে সকলকে রীতিমতো চমকে দিয়েছেন।

Alpha Monitor: হায়দ্রাবাদের ১৬ বছর বয়সী হেমেশ চাদলাভাদা (Hemesh Chadalavada) অ্যালজাইমার রোগীদের পর্যবেক্ষণ করার জন্য এবং সেইসাথে এই রোগে আক্রান্তদেরকে যারা দেখভাল করছেন, তাদেরকে রোগীদের আচরণের পরিবর্তন সম্পর্কে সতর্ক করার জন্য একটি স্মার্ট রিস্টব্যান্ড ডিজাইন করেছেন।

সঙ্গে থাকুন ➥