BSNL কে বেসরকারিকরণের আপাতত কোনো পরিকল্পনা নেই সরকারের, জানালেন সঞ্জয় ধোত্রে

Published on:

বিগত দুই বছরে চরম দুঃসময় শুরু হয়েছে ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থা BSNL-এর। কর্মী ছাঁটাই, বকেয়া ঋণের বোঝা ইত্যাদি কারণে বারবার শিরোনামে উঠে এসেছে দেশের অন্যতম টেলিকম সংস্থাটির নাম। শুধু তাই নয়, জল্পনা চলছিল, ভারত সরকার এই সংস্থাটির বিলগ্নিকরণ এবং বেসরকারিকরণের কথা ভাবছে। তবে এই দীর্ঘ জল্পনায় এবার জল ঢাললো ভারত সরকার। সম্প্রতি ভারত সরকার জানিয়েছে, রাষ্ট্র পরিচালিত ভারত সঞ্চার নিগম লিমিটেড অর্থাৎ BSNL এবং মহানগর টেলিফোন নিগম লিমিটেড (MTNL) সংস্থাদুটিকে বেসরকারিকরণের আপাতত কোনো পরিকল্পনা নেই।

গত বুধবার, লোকসভায় শ্রীধর কোটাগিরির প্রশ্নের জবাবে, কমিউনিকেশন তথা ইলেকট্রনিক্স এবং তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী সঞ্জয় ধোত্রে এই বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন – সরকার, বিএসএনএল এবং এমটিএনএলের বেসরকারিকরণ করার কথা ভাবছেনা।

তবে ধোত্রে, একটি পৃথক বিবৃতিতে গত তিন বছরে বিএসএনএলের লোকসানের কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, BSNL ২০১৭-২০১৮ অর্থবর্ষে প্রায় ৭,৯৯৩ কোটি টাকা লোকসান করেছে। ২০১৯ সালে সংস্থাটির লোকসানের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ১৪,৯০৪ কোটি টাকা। আবার চলতি অর্থবছরে এখনো অবধি বিএসএনএল প্রায় ১৫,৫০০ কোটি লোকসান করেছে বলে জানা গিয়েছে।

শুধু তাই নয়, ধোত্রে, বিএসএনএলের জন্য সরকারের রিভাইভাল অর্থাৎ পুনর্জীবন প্ল্যানটির কথাও তুলে ধরেন, যা গত বছরের অক্টোবরে ঘোষণা করা হয়েছিল। এই পরিকল্পনার আওতায় ৫০ বছর বা তারও বেশি বয়সের কর্মীদের ভলেন্টরি রিটায়ারমেন্ট প্ল্যান (VRS) স্কিমসহ 4G স্পেকট্রাম অ্যালটমেন্ট ইত্যাদি পরিষেবা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

এদিকে, 4G পরিষেবা চালু করতে গিয়ে একাধিক বাধার সম্মুখীন হয়েছে BSNL। ইতিমধ্যে বিএসএনএলের 4G পরিষেবার বিলম্বের বিষয়ে সোচ্চার হয়েছেন বিএসএনএল কর্মীরা। যেখানে দেশের বাকি টেলিকম সংস্থাগুলি 5G নেটওয়ার্কের ওপর কাজ শুরু করেছে, সেখানে রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থাটি এখনো অবধি 4G পরিষেবা চালু করতে পারেনি।

প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলিতে ভারত সরকার জানিয়েছে, তারা ২০টিরও বেশি সরকারি সংস্থাকে পাবলিক সেক্টরের হাতে তুলে দিতে কাজ করছে। কিন্তু সেই তালিকায় বিএসএনএলের নাম থাকছেনা, এটাই স্বস্তির বিষয়। কিন্তু সংস্থাটি তার ক্ষত সারিয়ে লড়াইয়ে ফিরে আসতে পারে কিনা, সেটাই এখন দেখার।

সঙ্গে থাকুন ➥