Airbags: যাত্রী সুরক্ষায় গাড়িতে অন্তত ছ’টি এয়ারব্যাগ বাধ্যতামূলক করবে কেন্দ্র, খসড়া প্রস্তাবে সায় নিতিন গডকড়ীর

Updated on:

ভারতের যেকোনো চার চাকার গাড়িতে যাত্রীদের সুরক্ষার জন্য এয়ারব্যাগ দেওয়ার পক্ষে সুর চড়িয়েছিলেন কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী (Nitin Gadkari)। প্রধানত ৮ জন যাত্রীর গাড়িতে ৬টি এয়ারব্যাগ রাখতে হবে এমনটাই দাবি করেছিলেন তিনি। এই প্রসঙ্গে দেশের গাড়ি নির্মাতা সংস্থাগুলির প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি। কিছুদিন আগেই এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার ভাবনা চিন্তা করার বিষয়টিও প্রকাশ্যে আসে। তবে এবার ৮ জন যাত্রীর গাড়িতে ৬টি এয়ারব্যাগ রাখার প্রসঙ্গে কেন্দ্রের প্রকাশিত একটি খসড়া নীতিতে সায় দিলেন সড়ক মন্ত্রী।

যা দেখে মনে করা হচ্ছে ভারতে কেন্দ্রীয় সরকারের এই পরিকল্পনা খুব শীঘ্রই বাস্তবায়িত হতে চলেছে। আসলে ভারতের রাস্তায় যাত্রীদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করতেই কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত। এই প্রসঙ্গে গডকড়ী একটি টুইট বার্তায় জানিয়েছেন, “৮-সিটার গাড়িতে যাত্রীদের নিরাপত্তা বাড়াতে আমি ৬টি এয়ারব্যাগ আবশ্যিক করার খসড়াতে অনুমোদন দিয়েছি।” যদিও কবে থেকে এটি কার্যকর হবে তা এখনও নির্দিষ্টভাবে জানানো হয়নি। এখানে জানিয়ে রাখি, ২০১৯-এ ভারতে গাড়ির চালকের এয়ারব্যাগ আবশ্যক করা হয়েছিল এবং ২০২১-এ চালকের পাশের যাত্রীর জন্য এয়ারব্যাগ দেওয়ার বিষয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়।

এখন ব্যাপার হচ্ছে যদি সমস্ত ৮-সিটের গাড়িতে ৬টি এয়ারব্যাগ দেওয়া হয় সে ক্ষেত্রে তাঁর কী প্রভাব পড়তে চলেছে? এই প্রসঙ্গে প্রথমেই যে বিষয়টি মাথায় আসে সেটি হচ্ছে যাত্রী সুরক্ষা, তা যে আরো জোরদার হবে সেই বিষয়ে কারোর দ্বিমত থাকার কথা নয়। কিন্তু পাশাপাশি গাড়ির দামও যে বেড়ে যাবে, সেটি হলফ করে বলা যায়। উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে সামনের সারিতে এয়ারব্যাগ দেওয়ায় মডেল প্রতি অতিরিক্ত ৫,০০০-১০,০০০ টাকা খরচ বেড়েছিল, যা শেষ পর্যন্ত গ্রাহকদের কাঁধেই চেপেছে। এখন যদি আরো এয়ারব্যাগের সংখ্যা বাড়ে, সে ক্ষেত্রে তার পরিণাম কি হতে চলেছে, তা হয়তো আর বলে বোঝানোর প্রয়োজন নেই।

হিসেবে দেখা গেছে, এর ফলে ৩-৩.৫ লক্ষ টাকা দামের কোনো গাড়ির দর ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে। গাড়ির সংস্থা যেমন Maruti Suzuki, Renault এবং Nissan এরা সবাই তাদের গাড়িতে দুটো এয়ারব্যাগ-ই বেশি অফার করে। বেশিরভাগ সংস্থাই সাধারণত ১০ লাখ টাকার বেশি দামের গাড়িতেই ৬টি এয়ারব্যাগ দিয়ে থাকে।

অন্যদিকে যেই গাড়িগুলি ইতিমধ্যেই তৈরি হয়ে গেছে সেগুলোতে নতুন করে এয়ারব্যাগের সংখ্যা বাড়াতে অতিরিক্ত নির্মাণ খরচ পড়বে। এর ফলেও গাড়ির দাম অনেকটাই বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। অন্যদিকে ইনপুট এবং পরিচালন খরচ বৃদ্ধির জন্য গাড়ি সংস্থাগুলিকে যথেষ্টই বেগ পেতে হচ্ছে। এছাড়া ২০২২-’২৩-এ CAFE-এর দ্বিতীয় পর্যায় এবং BS6 নির্গমন বিধি পালন করে গাড়ি আনতেও হিমশিম খাচ্ছে কোম্পানিগুলি। কাজেই ৬টি এয়ারব্যাগের বিষয়টি কার্যকর হলে তার পরিণতি কী হয় এখন সেটাই দেখার।

সঙ্গে থাকুন ➥