লঞ্চের একদিন পরেই ব্যান iPhone 15 সিরিজ, জোর ঝটকা খেল Apple! কেন?

Published on:

China Banned New iPhone 15 Series

অবশেষে সত্যি হল সমস্ত খবর, জল্পনা! এতদিন ধরে নিজে ডেটা সুরক্ষার বিষয়ে অভিযুক্ত হিসেবে কাঠগড়ায় থাকলেও এবার নিরাপত্তার নামে Apple-এর সদ্য লঞ্চ হওয়া iPhone সিরিজ ব্যান করল চীন। কিছুদিন আগেই জানা গিয়েছিল যে, চীন, সেদেশের কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থার কর্মকর্তাদের Apple iPhone ব্যবহার করতে নিষেধ করেছে। শুধু তাই নয়, এইসব সরকারি কর্মীদের কাজের জন্য আরও অন্যান্য বিদেশি ব্র্যান্ডের ডিভাইসও ব্যবহার না করতে বা অফিসে-সরকারি দপ্তরে না আনতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল বলে রিপোর্টে জানা যায়। স্বাভাবিকভাবেই নতুন iPhone 15 সিরিজ লঞ্চের ঠিক একদম আগে চীনের নেওয়া এই সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে চর্চা শুরু হয়। সেক্ষেত্রে গতকাল লেটেস্ট iPhone মডেলগুলি লঞ্চ হতে না হতেই এগুলিকেও এই একই নিষেধাজ্ঞার আওতায় এনেছে দেশটি, যাতে করে সমস্ত চর্চা আরও ঘনীভূত হয়েছে।

iPhone Ban: ঠিক কী বলছে চীন?

আজ বুধবার, বেইজিংয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং একটি প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেছেন যে, তাঁরা অ্যাপল আইফোনের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি মিডিয়া রিপোর্ট দেখেছেন যেগুলি তাদের চিন্তা বাড়িয়েছে। যদিও মাও এই বিষয়ে বিশদ বিবরণ দেননি, তাও চীনের আগের চিন্তা-ভাবনার প্রেক্ষিতে বলা যায় নিরাপত্তার কারণেই সেখানকার সরকারি ক্ষেত্রে লেটেস্ট আইফোনও ব্যবহার না করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

চীনের সিদ্ধান্তে কতটা ক্ষতি হতে পারে Apple-এর?

গতকাল মানে ১২ই সেপ্টেম্বর মধ্যরাতে অ্যাপল কোম্পানি চারটি নতুন আইফোন লঞ্চ করেছে, যার মধ্যে রয়েছে ভ্যানিলা iPhone 15, iPhone 15 Plus, iPhone 15 Pro এবং iPhone 15 Pro Max। টেকদুনিয়ায় এখন এই ফোনগুলিকে নিয়েই চর্চা চলছে। কিন্তু এরই মাঝে চীনের আইফোন সম্পর্কে নেওয়া সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত মার্কিনি সংস্থাটির ব্যবসায় বড় প্রভাব ফেলতে পারে।

আসলে চীন, অ্যাপলের অন্যতম বৃহত্তম বিদেশী বাজার। কোম্পানিটির আয়ের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ এই উৎস থেকেই সংগ্রহ হয়। তাই এখন হঠাৎ তারা আইফোন ব্যান করলে বাজারে তার বিশাল প্রভাব পড়তে বাধ্য! সেক্ষেত্রে জানিয়ে রাখি যে শুধু আইফোন নয়, অ্যাপলের নাম করে সংস্থাটির অন্যান্য প্রোডাক্টও সরকারিভাবে না করার কথা বলেছে চীন।

সঙ্গে থাকুন ➥