Hybrids Car: সংকটে পেট্রোল ও ব্যাটারির সমন্বয়ে চলা গাড়ি, দূষণ নির্ণয়ের কড়া পরীক্ষা ব্যবস্থা চালু করার পথে ইউরোপ

Updated on:

ইউরোপে হাইব্রিড গাড়ির দূষণ ছড়ানোর মাত্রা পরীক্ষা আরও কড়া হতে চলেছে। আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্স (Reuters)-কে এমন পরিকল্পনার কথাই জানিয়েছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (EU)। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন প্লাগ-ইন হাইব্রিড গাড়ি থেকে নির্গত কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ নির্ণয় করার পদ্ধতি অধিক কঠোর করার চিন্তাভাবনা করছে। হাইব্রিড গাড়ি থেকে সৃষ্ট ক্ষতিকর গ্যাস মাপার পরীক্ষার বর্তমান ফলাফল বাস্তবে চার গুণ পিছিয়ে রয়েছে বলে বিভিন্ন মহলে জলঘোলা শুরু হতেই এহেন সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে খবর।

এখন অনেকেই প্রশ্ন করতে পারেন প্লাগ-ইন হাইব্রিড গাড়ি কী? এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি, এই ধরনের হাইব্রিড গাড়িতে ইলেকট্রিক মোটরের পাশাপাশি একটি জীবাশ্ম জ্বালানি চালিত ইঞ্জিন (ICE)-এর সহাবস্থান দেখা যায়। গাড়ি মূলত ইলেকট্রিক মোটরে চলে। তবে ব্যাটারির চার্জ ফুরিয়ে গেলে যাতে মাঝরাস্তায় থেমে যাতে না হয় তার জন্য ব্যাকআপ হিসেবে প্রথাগত ইঞ্জিনের ব্যাকআপ থাকে।

উক্ত রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, গাড়ির দূষণ ছড়ানোর মাত্রা খতিয়ে দেখার পদ্ধতি কঠিনতর হলে গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইউ) নির্গমনের লক্ষ্য পূরণ করতে এবং জরিমানার হাত থেকে বাঁচতে সম্পূর্ণরূপে ব্যাটারি চালিত বৈদ্যুতিক যানবাহন বিক্রির দিকেই বেশি ঝুঁকবে। সূত্রের খবর, দূষণের মাত্রা পরীক্ষার নতুন পদ্ধতিটি ২০২৫ থেকে কার্যকর করা হতে পারে।

এদিকে ২০২১ থেকেই EU-এর আইন অনুযায়ী গাড়িতে জ্বালানি খরচের মিটার বসানো আবশ্যক করা হয়েছে। যার তথ্য এই নতুন নির্গমন পরীক্ষায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এর ফলে একটি হাইব্রিড গাড়ি ইলেকট্রিক ব্যাটারি ছাড়া ইন্টার্নাল কম্বাশন ইঞ্জিনের উপর কতটা নির্ভরশীল, তার বাস্তবিক চিত্রটি প্রকাশ্যে আসবে।

হাইব্রিড গাড়ির দূষণ নির্ণয়ের পরীক্ষার পদ্ধতি সম্পর্কে ইউরোপিয়ান অটোমোবাইল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (ACEA) এর দীর্ঘমেয়াদী পরিবহণের প্রধান পিটার ডোলেজসি (Petr Dolejsi) বলেছেন, “আমরা গাড়ির থেকে তথ্য সংগ্রহ শুরু করেছি। এই কাজটি চলছে।” তবে ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল ফর ক্লিন ট্রান্সপোর্টেশন (ICCT)-র কথানুযায়ী, নতুন নির্গমন পরীক্ষা (WLTP) বাস্তবের থেকে অনেকটাই দূরে রয়েছে।

সঙ্গে থাকুন ➥