Tesla: ম্যাগির থেকে দ্রুত গাড়ি বানায় টেসলা, কীভাবে চলে ইলন মাস্কের সংস্থার এই কর্মযজ্ঞ

বর্তমান ব্যস্ততার দুনিয়ায় সময়ের মূল্য অপরিসীম। যে কোনো কাজ অল্প সময়ে করে ফেলার তাগিদ তাই সর্বত্র নজরে পড়ে। একটু সময় বাঁচাতে মানুষ কত কী না করে থাকেন! যার অন্যতম নিদর্শন, ব্যাঙ্কের লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে টাকা পাঠানোর বদলে আধুনিক প্রযুক্তিতে প্রশিক্ষিত জনগণ অনলাইনে টাকা ট্রান্সফার করে সময় বাঁচাচ্ছেন। কিন্তু এমনটা কখনও শুনেছেন নাকি, যে একটি গাড়ি ৪০ সেকেন্ডে তৈরি হচ্ছে? যেখানে এক প্যাকেট ম্যাগি বানাতে সময় লাগে ২ মিনিট। প্রতিবেদনটি পড়ে হয়তো এতক্ষণে অনেকেই ভুয়ো খবর বলে চোখ ফেরাতে চলেছেন। কিন্তু শুনুন, খবরটা দিনের আলোর মতই সত্যি! বিশ্বের বৃহত্তম বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা টেসলা (Tesla)-র কারখানায় মাত্র ৪০ সেকেন্ডে এক একটি গাড়ি তৈরি হয়ে বেরোয়। যা বাস্তবেই একটি অবিশ্বাস্য ঘটনা।

Tesla প্রতি ৪০ সেকেন্ডে একটি গাড়ি তৈরি করে

চীনের সাংহাইতে এশিয়ার তাদের বৃহত্তম বৈদ্যুতিক গাড়ির কারখানা অর্থাৎ গিগা ফ্যাক্টরি রয়েছে টেসলার। যেখান থেকে এশিয়ার বাজার তথা উত্তর আমেরিকা এমনকি ইউরোপের দেশগুলিতেও গাড়ি সরবরাহ করা হয়। এখানে Model Y ও Model 3 তৈরি হতে মাত্র ৪০ সেকেন্ড সময় লাগে। কিছুদিন আগে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে এক মিনিটেরও কম সময়ে গাড়ি তৈরির দাবি করা হয়। এর নেপথ্যে কী রহস্য জানেন?

জানলে চমকে যাবেন, টেসলার এই কারখানাতে যতজন কর্মী কাজ করেন, ঠিক ততগুলিই রোবট রয়েছে। যার জেরে বিশ্বের মধ্যে গাড়ি তৈরির সবথেকে দক্ষ কারখানার তকমা জিতে নিয়েছে এই গিগা ফ্যাক্টরি। জানা গেছে, প্রায় ২০,০০০ ফ্রন্ট লাইন কর্মী ও প্রকৌশলী কাজ করেন এই কারখানায়। Model Y ও Model 3 – কেবল এই গাড়ি দুটিই তৈরি হয় এখানে।

এই গাড়ি দুটি টেসলার সবচেয়ে সস্তা ব্যাটারি চালিত মডেল। টেসলার সিইও ইলন মাস্ক (Elon Musk) বিগত কিছু মাস ধরে উৎপাদন বাড়ানোর বিষয়ে জোর দেওয়ার কথা বলে আসছিলেন। ৪০ সেকেন্ডে গাড়ি তৈরির এই বিশ্ব রেকর্ড সম্ভবত তারই কৌশলগত অংশ। প্রসঙ্গত, সমগ্র বিশ্বে মোট ছ’টি গিগা ফ্যাক্টরি চালায় টেসলা। যথা – টেক্সাস, স্পার্কস (নেভাডা), সাংহাই (চীন), বার্লিন (জার্মানি) ও ফ্রিমন্ট (ক্যালিফোর্নি)। বর্তমানে এই কারখানাগুলিতে বার্ষিক ৫.৫ লাখের অধিক গাড়ির উৎপাদন হয়। যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি গাড়ি তৈরি করে থাকে সাংহাইয়ের কারখানাটি, প্রায় ৭.৫ লাখ ইউনিট।